Lord Laddu Gopal : ঠাকুরঘরে দুলছে কে? কাছে যেতেই চমকালেন গৃহকর্তা
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
ঘরে রয়েছে নাড়ু গোপালের একটি মূর্তি। ভক্তিভরে প্রতিদিন পুজো করা হয়ে থাকে। আর সেই নাড়ু গোপালের মূর্তিকে ঘিরে ঘটল অলৌকিক ঘটনা। রাতে ঠাকুর ঘর থেকে এক অদ্ভুত আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়েছিলেন বাড়ির মালিক মণীশ ট্যান্ডন। আর তারপর তাঁর চোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়। বাড়ির মালিকের দাবি, নাড়ু গোপালকে দোল খেতে দেখেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন সাইবার সিটি গুরুগ্রামের এমজি রোডের একটি আবাসনে।কী জানিয়েছেন বাড়ির মালিক মণীশ ট্যান্ডন?
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক মমীশ ট্যান্ডন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মালিক। ১৩ বছর আগে নিজের বাড়িতে নাড়ু গোপালের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। সেই থেকে নাড়ু গোপালটি তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠেছিল। প্রতিদিন ধর্মীয় নিয়ম মেনে হত তার পুজো।
মণীশ জানিয়েছেন, প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর দিন ধুমধাম করে পুজো হয় তাঁর বাড়িতে। ওই দিনে দোলনায় বসিয়ে দোল খাওয়ানো হয় নাড়ু গোপালকে। কয়েকদিন আগে গভীর রাতে তাঁর ঠাকুরঘর থেকে একটি অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি দেখতে ঠাকুরঘরে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়ে যা দেখেছেন, এখনও তা বিশ্বাস করতে পারছেন না মণীশ। দোলনায় চড়ে নাড়ু গোপালকে দোল খেতে দেখেছেন বলে করেছেন দাবি।
মণীশ আরও জানিয়েছেন, প্রথম তিনি ভেবে ছিলেন হাওয়া বা অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। হাত দিয়ে দোলনাটি থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাত সরিয়ে নেওয়ার পর ফের দোলনাটি দুলতে শুরু করেছিল বলে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত এ ঘটনা তিনি নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন বলে জানিয়েছেন মণীশ ট্যান্ডন।
অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি মণীশ
নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করা নাড়ু গোপালের দোল খাওয়ার ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি গুরুগ্রামের বাসিন্দা। এটা এক আশ্চর্য অনুভূতি বলে জানিয়েছেন। আর এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই মণীশের বাড়িতে নেমেছে ভক্তের ঢল।
ভক্তরা কী বলছেন?
অলৌকিক ঘটনার খবর জানতে পেরে তা প্রত্যক্ষ করার জন্য গত বুধবার মণীশের বাড়ি গিয়েছিলেন নীতি আগরওয়াল নামে এক ভক্ত। তিনিও সেই অলৌকিক ঘটনা দেখেছেন বলে করেছেন দাবি। তিনি জানিয়েছেন, নাড়ু গোপালের মূর্তির দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকলে মনে হবে যে হাসছে সে।
বেশ কয়েক বছর আগে গণেশেক দুধ খাওয়া নিয়ে কলকাতায় পড়ে গিয়েছিল শোরগোল। পরে জানা যায়, এর পিছনে ছিল একটি বৈজ্ঞানীক কারণ। গুরুগ্রামের ঘটনার পিছনেও বিজ্ঞানভিত্তিক কোনও কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।