সিঁদুর পরানোর সময় আজব দাবি বরের, শর্ত না মানায় ভাঙল বিয়ে
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
কনকে সিঁদুর পরানোর সময় অদ্ভুত শর্ত চাপিয়েছিলেন বর। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেনি কনেপক্ষ। অদ্ভুত শর্ত প্রত্যাহারের জন্য বরকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা। শর্ত প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায়, কনে ছাড়াই ফিরে যেতে হল বর-কে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার কেতার থানা এলাকায়।জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার গাড়োয়া জেলার কেতার থানা এলাকার লাটমারওয়া গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বংশীধর থানা এলাকার মাকরি গ্রামের বাসিন্দা অঞ্জনি কুমারের। নির্দিষ্ট সময়ে শোভাযাত্রা করে এসেছিল বরের মিছিল। বিয়ের প্রাথমিক আচারের পর ছিল সিঁদুর পরানোর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান শুরুর আগে বরের অদ্ভুত শর্তে ভেঙে যায় বিয়ে।
বরের শর্ত কী ছিল?
বিয়ের প্রাথমিক আচারের পর কনেকে সিঁদুর পরানো অনুষ্ঠান শুরু হয়। এই সময় প্রকাশ্যে সিঁদুর পরাতে অস্বীকার করেছিলেন বর অঞ্জনি কুমার। কনেপক্ষকে শর্ত দিয়েছিলেন। আলাদা ঘরে লাইট নিভিয়ে কনে-কে সিঁদুর পরাবেন তিনি। বরের এই শর্তে হতবাক হয়ে যায় কনেপক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে অঞ্জনিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্ত তাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চাপানো শর্তে অনড় থাকে বর।
বর মানতে প্রস্তুত নয়
অদ্ভুত শর্ত প্রত্যাহারের জন্য কনেপক্ষের পাশাপাশি বরপক্ষের লোকজনও আর্জি জানিয়েছিল অঞ্জনি কুমারকে। কিন্তু বর অনড় থাকায়, পুরো ঘটনাটি জানানো হয় মাকরি এবং কেতার পঞ্চায়েত প্রধানকে। দুই পঞ্চায়েত প্রধান শর্ত প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বরের কাছে। কিন্তু শর্ত প্রত্যাহারে রাজি ছিলেন না বর।
ভেঙে যায় বিয়ে
বর অঞ্জনি কুমার শর্ত প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায়, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন দুই পঞ্চায়েত প্রধান। অবশেষে দুই পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে কনেপক্ষ থেকে দেওয়া যৌতুক এবং বিয়ে বাবদ যে খরচ হয়েছে, তা বরপক্ষকে দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুই পঞ্চায়েতের প্রধান। এজন্য কনেপক্ষকে ৫.১৩ লাখ টাকা দিতে হয়েছে বরপক্ষকে। পরে কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরে যায় বর।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার থারিয়ানভের খাজিপুর সেমরাইয়া গ্রামে একটি বিয়েতে অনুরূপ একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। আকণ্ঠ মদ্যপান করে দলবল নিয়ে বিয়ে করতে এসেছিলেন বর। অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য বিয়ে করবেন কী, আসরে ঘুমিয়ে কাদা সে। মাতাল বরের এই কাণ্ড দেখে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কনে।