'তোমাকে মানছি না মানব না', বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভ
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরেই মাঝেই বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ফের দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। বাঁকুড়া শহরের 'প্রাণকেন্দ্র' হিসেবে পরিচিত মাচানতলায় শনিবার ডাঃ সুভাষ সরকারের ছবিতে কালি লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সঙ্গে দলীয় পতাকা হাতে 'অপদার্থ সুভাষ সরকার দূর হটো', 'তৃণমৃলের দালাল সুভাষ সরকার দূর হটো' আর 'তোমাকে মানছি না, মানব না' বলেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।উল্লেখ্য, এর আগে প্রথমবার গত ১২ সেপ্টেম্বর শহরের নতুনগঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি থেকে 'বহিষ্কৃত'দের একাংশ। একইসঙ্গে সেই সময় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুভাষ সরকারের বিরোধীতা করে পথে নেমেছিলেন দলেরই নেতা কর্মীদের একটা অংশ। তারপর অতি সম্প্রতি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার 'ভাইরাল' অডিও ক্লিপেও ডাঃ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গিয়েছে। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে 'তোলাবাজ' বলেও কটাক্ষ উল্লেখ করতে শোনা গিয়েছে ওই 'ভাইরাল' অডিও ক্লিপে।
এদিন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল কৌশিক সিং নিজেকে দলের 'প্রাক্তন বিধানসভা কনভেনর' দাবি করে বলেন, 'তিনি (সুভাষ সরকার) সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, বিজেপি কর্মীদেরও পাশে দাঁড়াননি। চামচাদের নিয়ে দল পরিচালনার জন্য প্রতিটি নির্বাচনে আমরা হারছি। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়া ১৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছেন। ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন থেকে বাঁকুড়ার মানুষ বঞ্চিত। এছাড়াও ডাঃ সুভাষ সরকার ও অমিতাভ চক্রবর্ত্তী সিণ্ডিকেট রাজ কায়েম করেছেন।' তাঁদের তৃণমূলের দালাল' বলে আক্রমণ শানান কৌশিক। এই সাংসদকে সরালে দলের লাভ হবে বলেই দাবি করেন তিনি।
সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কি লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ব্য়াঙ্কে প্রভাব ফেলবে?হ্যাঁনাজানি না
এদিকে এই বিষয়ে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নয়। তবে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, যেভাবে বারেবারেই সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসছে, তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে যদি এই কেন্দ্রে আরও একবার সুভাষ সরকারকে টিকিট দেওয়া হয়, তাহলে তার প্রভাব ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হতে পারে।