সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা, আউটডোরে 'ডাক্তারবাবু লেট'-এর দিন শেষ!
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
শুধু চিকিৎসকদের জন্য বসানো হল বায়োমেট্রিক যন্ত্র! কিন্তু কেন? হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সময়ের মধ্যে চিকিৎসকদের আসতে হবে। বায়োমেট্রিক যন্ত্রে দিতে হবে আঙুলের ছাপ। বর্ধমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ,সুপার অফিস এবং পুলিশ ক্যাম্পে বসানো হয় এই বায়োমেট্রিক যন্ত্রটি।শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই এই বায়োমেট্রিকে হাজিরা দেবেন। চিকিৎসকদের হাজিরা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য,বর্ধমান হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের দেরিতে আসা নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। কর্মীদের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও সঠিক সময়ে আসেন না বলে অভিযোগ ছিল রোগীর পরিজনদের। শুধু বর্ধমান মেডিক্যাল নয়, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালেই এই সমস্যা ছিল বলে জানা যায়।
এই সমস্যা কাটাতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত হাসপাতালের সুপার এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বহির্বিভাগ পরিষেবা চালু করতে হবে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সময়ে চিকিৎসকরা না আসায় বহির্বিভাগে বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলার পরেই রোগীদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। বর্ধমান হাসপাতালেও এই ধরনের সমস্যা উঠে এসেছে। এর ফলে বেশ কয়েকবার হুড়োহুড়িতে কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
রোগ নিয়ে রোগীরা দীর্ঘক্ষণ লাইন দিলেও সময়ে চিকিৎসকদের দেখা না মেলায় উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা যাতে পুনরায় না ঘটে সেই জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। সম্প্রতি, হাসপাতালে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানো হয়েছে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসকরা কখন আসছেন কখন বাইরে যাচ্ছেন তার হিসাব থাকছে।
তবে হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, অনেক সময় কিছু ডাক্তারবাবু দেরীতে আসেন বা সময়ের আগেই চলে যান। বহির্বিভাগে নির্দিষ্ট চিকিৎসকদের জন্য রোগীদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতেও হয়। এই প্রবণতা ঠেকানোর জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, 'ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশ অনুযায়ী বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। প্রথম ধাপে চিকিৎসকদের জন্য এই নির্দেশ এসেছে। যদি পরবর্তী কোনও নির্দেশ আসে সেক্ষেত্রে কর্মীদের জন্যও বসানো হবে বায়োমেট্রিক যন্ত্র।' এই বায়োমেট্রিক হাজিরার ফলে চিকিৎসকদের আসা যাওয়ার সময় নথিভুক্ত করা অনেকাংশে সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকটাই সুবিধা হবে।