প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই প্রার্থী তালিকায় বাংলায় ২০ প্রার্থীর নামও রয়েছে। বাঁকুড়া থেকে আবারও সুভাষ সরকারের ওপরেই আস্থা রেখেছে বিজেপি। পাশাপাশি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ফের একবার প্রার্থী করা হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে।আর সুভাষ সরকার ও সৌমিত্র খাঁয়ের নাম ঘোষণা হতেই আনন্দোৎসবে মেতে উঠেছেন জেলায় দলের নেতা কর্মীরা। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ডাঃ সুভাষ সরকারের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে তাঁদের নামে জয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন নেতা কর্মী সমর্থকেরা। সঙ্গে আতসবাজির রোশনাই তো ছিলই।
বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল এদিন বলেন, 'ডাঃ সরকার ফের দলের প্রার্থী হবেন এটা প্রত্যাশিতই ছিল। আবারও বাঁকুড়ার মানুষ তাঁকেই জয়যুক্ত করবেন। এমনকী বাঁকুড়ার সাংসদ হিসেবে সুভাষ সরকার যতখানি কাজ করেছেন, স্বাধীনতার পর কোনও দলের কোনও সাংসদ এত কাজ করতে পারেননি বলেও দাবি তাঁর।
এদিকে ফের একবার প্রার্থী হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি লেখেন, 'আমাকে বিষ্ণুপুর লোকসভার ভারতীয় জনতা পার্টির পদপ্রার্থী করার জন্য ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীজিকে, গৃহমন্ত্রী সম্মানীয় অমিত শাহজিকে, সর্বভারতীয় সভাপতি সম্মানীয় জগৎপ্রকাশ নাড্ডাজি মহাশয়, পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক সম্মানীয় সুনীল বনসলজী মহাশয় ও সহপর্যবেক্ষক সম্মানীয় মঙ্গল পাণ্ডেজি মহাশয়, প্রদেশ সভাপতি সম্মানীয় সুকান্ত মজুমদার মহাশয় ও পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা সম্মানীয় শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাই।' অন্যদিকে সুভাষ সরকার বলেন, 'এটা প্রত্যাশিত ছিল, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে কোনও সাংসদ এতটা উন্নয়ন করতে পারেননি, যেটা আমি করেছি।'
এটা প্রত্যাশিত ছিল, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে কোনও সাংসদ এতটা উন্নয়ন করতে পারেননি, যেটা আমি করেছি।'সুভাষ সরকার
তবে এই সবের মাঝে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে, সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশের ক্ষোভ কিছুটা হলেও বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহলের কেউ কেউ। বারেবারেই সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। শনিবারও তেমনই ঘটনা ঘটতে দেখা যায় বাঁকুড়ার মাচানতলায়। রীতিমতো হাতে দলের পতাকা নিয়ে সুভাষ সরকারের ছবিতে কালি লেপে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী সমর্থকদের একাংশ। সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে 'তোমাকে মানছি না মানব না' স্লোগান ওঠে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল পাওয়া ১৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৫ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছেন সুভাষ। ১২ কোটি টাকার উন্নয়ন থেকে বাঁকুড়ার মানুষকে বঞ্চিত রেখেছেন তিনি। যদিও বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল দাবি, বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নন।