'মহাপ্রভুর জেলাতে এসেও চৈতন্য হল না প্রধানমন্ত্রীর!'
২৪ ঘন্টা | ০৩ মার্চ ২০২৪
তথাগত চক্রবর্তী: কৃষ্ণনগরের সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে নেই সিএএ-র কথা। নেই মহুয়া মৈত্রের কথা। বরং রাজ্যের বিভিন্ন স্কিমকে স্ক্যাম বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সেই বক্তব্যকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তিনি বলেন, এইমস নিয়ে যা উনি বললেন তা সত্যি নয়। চৈতন্যদেবের জেলাতে এসেও তাঁর চৈতন্য হয়নি।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলা স্কিমে বদল করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। কিন্তু বদলটা কিসের? উনিও তো ইন্দিরা আবাস যোজনাকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করে দিয়েছেন। আমরা তো মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনা বলিনি! আমরা বাংলা আবাস যোজনা বলেছি। বাংলার প্রতি এত যদি শ্রদ্ধা, তাহলে নামটার সঙ্গে এতটা ঘৃণা বোধ কেন?গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির স্লোগানই ছিল, ইস বার দো শো পার। এনিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, গতবার প্রচারে এসে উনি বলেছিলেন ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০-র বেশি আসন পাবেন। ইস বার দোশো পার। আর মানুষ ওদের উস পার করে দিল। এবার বলছেন ৪২টি পদ্ম ফোটাবেন। যেকটি পদ্ম আছে সে কটিও তো চলে যাবে! তাহলে কিসের পদ্ম আর ফুটবে। ওসব বলে আর কোনও লাভ হবে না এই বাংলার মাটিতে। শুনেছি, উনি বলেছেন রাজ্যে যতগুলি স্কিম হয়েছে ততগুলি স্ক্য়াম হয়েছে। এবার বলুন বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও যে চালু হয়েছিল তা কী স্কিম? বিজ্ঞাপন দাতাদের পয়সা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি স্কিম। গোটা দেশের বেটিদের পড়াতে আর বাঁচাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ! তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কী হয়! আয়ূসমানটা কী স্কিম? একশো টাকা দেবেন? আমাদের এখানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধে পাচ্ছেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তা করেছিলেন ২০১৬ সালে। তা দেখে প্রধানমন্ত্রী যা করতে চেয়েছিলেন তা কিছুই হয়নি।এইমস নিয়ে করা মন্তব্য নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা। বলেন, উনি এইমস নিয়ে অনেক কথাই বললেন। অনুমতি নাকি দেওয়া হয়নি। পরিবেশ নিয়ে অনুমতির কী দরকার হবে না? উনি যা বললেন তাতে বোঝা গেল চৈতন্যদেবের জেলায় এসেও ওঁর চেতনা হল না। তাঁর চৈতন্য হল না। সিএএ নিয়ে কিছু বললেন না। একটা বিশৃঙ্খল সভা হয়েছে। জোর করে লোক আনা হয়েছে।বারুইপুর পুর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ফুলতলায় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে একটি প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শওকত মোল্লা, স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সর্দার। লোকসভা ভোটে নিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে তৃণমূল লিড নেবে। বিরোধী দলনেতার উস্কানিতে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো হয়েছে। সন্দেশখালির ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ২টিতে গোলমাল হয়েছে।