• গাজ়ায় আকাশপথে ত্রাণ পাঠাল ইউএসের আর্মি
    এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: গাজ়ার যুদ্ধে গোড়া থেকেই ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছেন ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকী, মার্কিন ভেটোর কারণে একাধিক বার ভেস্তেও গিয়েছে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। ‘ফ্রি প্যালেস্তাইন’ স্লোগান দিতে-দিতে ওয়াশিংটনে ইজ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে এক মার্কিন বায়ুসেনা কর্মীর আত্মাহুতিতে সেই চাপ আরও বেড়েছে।এ দিকে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে প্রেসিডেন্ট ইলেকশন। এই আবহে অবরুদ্ধ গাজ়ার নাগকিদের জন্য বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার (এয়ার ড্রপ) ঘোষণা করলেন বাইডেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ডেলি ব্রিফিংয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়— ‘গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ইউএস এয়ারফোর্স শিগ্‌গিরই ড্রপ-আউট টেকনিক নেবে।’

    সূত্রের খবর, জর্ডনের সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করে এ দিন ইউএস আর্মি ৩৮ হাজার মিল পৌঁছে দিয়েছে গাজ়ায়। ইজ়রায়েলি আগ্রাসনে কয়েকমাস ধরেই কার্যত অবরুদ্ধ গাজ়া। বাচ্চারা পশুখাদ্য খেয়ে বাঁচছে—এমন খবরও এসেছে। ত্রাণ শিবিরে তবু কিছু জুটছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ গাজ়ার জন্য ত্রাণের বন্দোবস্ত করেছে। কিন্তু নানাবিধ কারণে যথাযথ ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

    এমনই আবহে গত বৃহস্পতিবার ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যায় পশ্চিম গাজ়ার নাবুলসি এলাকায়। ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শরণার্থীদের উপরই ইজ়রায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। যাতে শতাধিক শরণার্থীর প্রাণ যায়। আকাশপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্তর পিছনে এমন বিপর্যয় এড়ানোও একটা বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    গাজ়ায় যে পরিমাণ ত্রাণ যাচ্ছে, তা যে যথেষ্ট নয়, তা-ও মেনে নেন ইউএস প্রেসিডেন্ট। তবে শরণার্থীদের উপর ‘বন্ধু’ ইজ়রায়েলের হামলা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি বাইডেন। পরে হোয়াইট হাউস জানায়, পরে জলপথেও ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। জর্ডন ও ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ আগেই আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে। গাজ়া তবু অন্ধকারেই!
  • Link to this news (এই সময়)