আজ রাজ্যে কমিশনের ফুল বেঞ্চ, রাজনৈতিক দল ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পরপর বৈঠক
এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
লোকসভা ভোটের ঢাকে কার্যত কাঠি পড়েই গিয়েছে। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করে দিয়েছে বিজেপি। তারই মধ্যে আজ রবিবার রাজ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আগামিকাল সোমবার প্রথমে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং পরে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চের। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের অনুমান, রাজ্যের সামগ্রিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দিল্লি ফিরে গিয়ে লোকসভা ভোট ঘোষণার প্রস্তুতি নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে ১৫ মিনিট করে সময় দেওয়া হবে তাদের অভিযোগ বা বক্তব্য রাখার জন্য। তারপর বেলা লাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনারদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করবেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরিখে এই বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে বিভিন্ন জেলা ধরে ধরে কমিশনের ফুল বেঞ্চ রিপোর্ট নেবে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর ৫ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিভিন্ন এজেন্সিগুলির সঙ্গে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বৈঠক রয়েছে। তারপর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সমস্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যে পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গত শুক্রবার প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। বিভিন্ন জেলায় পৌঁছতেও শুরু করেছেন বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয়েছে টহলদারি। ভোট ঘোষণার আগেই বাহিনী মোতায়েন কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিকে সন্দেশখালিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির উপরেও নজর রেখেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সন্দেশখালিতে ঠিক কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে প্রত্যেকদিন রিপোর্ট তৈরি করতে হয়েছে, এবং তা নির্বাচন কমিশনের সিইও-র দফতর থেকে দিল্লিতে পাঠাতেও হয়েছে। যদিও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত সন্দেশখালির পরিস্থিতি। এখন দেখার কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক কী কী নির্দেশ দেয়।