Lok Sabha Election 2024: কবে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ কমিশনের? জানুন নয়া আপডেট
এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই আবহে শনিবার বিজেপি ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা। ১৯৫ জন প্রার্থীর ঘোষণা করা হয়েছে তালিকায়। এখন শুধু নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অপেক্ষা।২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট কবে ঘোষণা হতে পারে?
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত দফা আলোচনা করেছে। আশা করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। তার আগে কমিশনের আধিকারিকরা ১২-১৩ মার্চ জম্মু-কাশ্মীর সফর করবে। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও অন্যান্য দফতরের সঙ্গেও আলোচনা করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
২০১৯ সালে ১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাত ধাপে চলেছিল ভোট গ্রহণ পর্ব। ২৩ মে ভোট গণনা। চলতি লোকসভা নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুনের মাঝামাঝি। তাই বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রায় ১৫ দিন বেশি সময় রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। তবে জুন মাসে প্রচণ্ড গরম। এই প্রেক্ষাপটে শেষ সময়সীমা পর্যন্ত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট পেছনোর সম্ভাবনা খুব কম।
কাশ্মীরে কি একই লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হবে?
লোকসভার পাশাপাশি কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে কিনা সেই বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তব সেখানে একযোগে নির্বাচন করানোকে সুবিধাজনক মনে করে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি নিরাপত্তাবাহিনীর প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করবে। রাজ্য়ে প্রতি প্রার্থীকে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিতে। ৩৭০ ধারা অপসারণের পর এটা হবে রাজ্যের প্রথম নির্বাচন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ কী?
নির্বাচনের প্রচারে যাতে কোনওরকম উত্তেজন বা বিতর্কিত মন্তব্য না করেন প্রার্থী-নেতারা তার জন্য আগাম বিবৃতি জারি করেছে কমিশন। এছাড়াও আলাদা করে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। সেই নোটিশে বিশেষ ভাবে সেই সব নেতাদের নাম উল্লেখ থাকবে যাদের উত্তেজক বা বিতর্কিত মন্তব্য করার রেকর্ড রয়েছে। তাঁদের উপর বাড়তি নজর দেবে কমিশন।
এছাড়া লোকসভা নির্বাচনে কমিশনরে কাছে সবচেয়ে বড়ে চ্য়ালেঞ্জ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের সময় নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তৃতা। বিষয়টি মোকাবিলায় কমিশনও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়ানো বা পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা বন্ধ করতে প্রতিটি জেলায় একজন করে প্রতিনিধি মোতায়েন করা হয়েছে। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি অবিলম্বে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশানসিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ও প্রয়োজনের পোস্টগুলি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে।
নেতাদের উত্তেজক বক্তৃতা ঠেকাতে যেসব নেতাদের অতীতে উত্তেজক ভাষণ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে তাঁদের নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুত নিচ্ছে কমিশন। অতীতের রেকর্ডের কথা স্মরণ করে সেইসব নেতাদের সতর্ক করা দেওয়া হবে যে নির্বাচন কমিশন তাঁদের বক্তব্যের উপর বিশেষ নজর রাখবে।