কিরণ মান্না: ফের বিস্ফোরক শিশির অধিকারী। দীর্ঘ জল্পনা ঘুচিয়ে বিজেপিতে যোগদান হয়ে গিয়েছে শিশির অধিকারীর। এমন কথা সাফ জানালেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছি, অমিত সাহের মিটিং-এ গিয়েছি। আমার ৬০-৬২ বছর রাজনৈতিক জীবন, কে আমাকে যোগদান করাবে? ওসব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে’।তিনি আরও বলেন, ‘আমি আছি তো মোদীর সঙ্গে অমিত শাহের সঙ্গে। কে আমাকে যোগদান করাবে! আমার হাঁটুর বয়সী, আমার আঙ্গুলের বয়সী লোকগুলো আমাকে কী যোগদান করাবে নাকি! যেদিন শুভেন্দু বাবু বিজেপিতে চলে গেল সেদিন থেকেই বুঝে যাওয়া দরকার ছিল এই পরিবার মোদীর সঙ্গে চলে গিয়েছে। মিছেমিছি মিথ্যে মামলা, কলকাতার হাটুর বয়সী লোকগুলো দু আনা এক আনা এক দু পয়সার হাটুর বয়সী লোকগুলোকে নিয়ে এসে মাইক লাগিয়ে বাপ বাপাত্ম্য কটু কথা’।
গত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী প্রার্থী। বিজেপির হয়ে ভোট চাইবেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘সৌমেন্দু প্রার্থী হয়েছে পরিবারের গর্বের বিষয়। যোগ্য প্রার্থী। ছেলের জন্য, বিজেপির হয়ে হান্ড্রেড এর হান্ড্রেড পারসেন্ট সময় দেবেন শিশির অধিকারী’।তিনি আরও বলেন, ‘কাঁথি, কলকাতা, দিল্লির অফিস ভালোভাবে জানে সৌমেন্দু। কোথায় কী করতে হয় কোথায় কী ভাবে যোগাযোগ করতে হয় সবটাই জানে। পার্টি দীর্ঘদিন ধরে করছে। জেলার সাধারণ সম্পাদক। নতুন লোক একটা পার্লামেন্টে পৌঁছে দরজা চিনতে ১০ বছর লাগে। ওর কাছে দিল্লির দরজা চিনতে ১০ মিনিটও লাগবেনা’।শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, ‘কাঁথির সমস্যা, জেলার সমস্যা, বাংলার সমস্যা ও ভালো করে জানে, সবটাই জানে বোঝে। সৌমেন্দুর উপর অনেক অত্যাচার করেছে। এরকম বাংলার বহু যুবক ছেলেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার যে চলার স্টাইল! বিশেষ করে বয়সে অনেক ছোট, নাম বলতে চাই না কষ্ট পাবে, অনেকে ক্ষমতা পেয়ে যা করেছে!’গতবারে তৃণমূলের হয়ে ভোট চেয়েছেন এবার কী ছেলের হয়ে বিজেপির জন্য ভোট চাইবেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গতবারে তৃণমূলের অফিসিয়াল লোকজন আমাকে ভোট দেয়নি। সিম্বলটা ভাড়া দিয়েছিল। শেষ বেলায় গলাধাক্কা মেরে বার করার অনেক চেষ্টা করেছিল, পারেনি। স্পিকারের কাছে আছে এখন। আমার দন্ড কী হবে জানিনা। আমার মৃত্যুর পর হয়তো দন্ড হবে’।