অবসরের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দ চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এমনকি, রাজনীতির ময়দানে তিনি নামতে চলেছেন বলে জানিয়ে দেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যর।দেবাংশু এদিন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে লেখেন, ‘আমরা বহু আগেই বলেছিলাম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন রাজনৈতিক বোরে। আমাদের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়ার জন্য অভিজিৎ বাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শিক্ষক নিয়োগ সহ গোটা দুর্নীতির অভিযোগটাই আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ল। ভোঁতা হয়ে গেল শেষ দুই-আড়াই বছরের যাবতীয় আলোচনা, সমালোচনা..।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষক দুর্নীতির তদন্তে আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক বেশ কিছু বিষয়ে মন্তব্য করতে শোনা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা - মন্ত্রীদের নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ববর্তী মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁকে রাজনীতির ময়দানে আসার জন্য অনুরোধ করেছিল।
এমনকি, রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁকে রাজনীতির ময়দানে আসার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন, তাতে রাজনীতিতে আসলে জন সমর্থন পাবেন বলেও জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বিষয়টি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, আমাদের দলের সম্পর্কে ওঁর সম্যক জ্ঞান আছে। উনি যদি রাজনীতিতে আসেন, তাহলে আমাদের দলে ওঁকে আমন্ত্রণ নিশ্চয়ই জানাবো। ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতক দলে উনি এলে আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আছে, সেটা দিয়ে ওঁর পূর্ণ মর্যাদা বজায় রাখার চেষ্টা করব। অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, তিনি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তবে সিপিএম দলে যুক্ত হবেন কিনা, এরকম কোনও খবর তাঁর কাছে নেই বলেই জানান তিনি। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করবেন কিনা, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে তিনি কিছু জানাননি। আগামী দিনে রাজনীতির ময়দানে তিনি নামছেন, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন।