এই সময়: শহরের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু সংস্কারের কাজে হাত দিতে চলেছে কেএমডিএ। সংস্কারের তালিকায় থাকা সেতুগুলি হলো শিয়ালদহ এবং ঢাকুরিয়া সেতু। সরকারি সূত্রে খবর, এই দুটি সেতু সংস্কারের জন্য প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে প্রথম ধাপে। প্রথমে শুরু হবে শিয়ালদহ সেতু সংস্কারের কাজ। তবে, সংস্কারের আগে শহরের যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে লালবাজারের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওই সেতুগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা কেএমডিএর কর্তারা।শহরের মধ্যে যে সমস্ত সেতু কেএমডিএ-র আওতায়, সেগুলির অবস্থা কেমন, তা জানতে সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে ঢাকুরিয়া, শিয়ালদহ সেতুর রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। তবে বাঘাযতীন সেতু, বিজন সেতু, দুর্গাপুর সেতু, করুণাময়ী সেতু, চেতলা সেতু, আম্বেদকর সেতু এবং চিৎপুর ক্যানালের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। তবে, এর আগের রিপোর্টে এই সেতুগুলির কোনও ধরনের মেরামতির সুপারিশ করেননি বিশেষজ্ঞরা।
ওই স্বাস্থ্যপরীক্ষার ভিত্তিতেই ২টি সেতুর জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা, যার ভিত্তিতে শুরু হতে চলেছে সংস্কারের কাজ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিয়ালদহ সেতুর পিলারের কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে যা মেরামত করা প্রয়োজন। পরিবর্তন করতে হবে গার্ডারেরও। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, শিয়ালদহ সেতুর বর্তমান যা অবস্থা, তাতে ৭১ টনের বেশি মাল বহনের ক্ষমতা রয়েছে তার। তবে ওই সেতুতে ছোট গাড়ির বাড়তি চাপের জন্য পিলারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ জন্যই পিলারের মেরামতি প্রয়োজন। এই মেরামতির জন্য সেতুর দু’টি দিক বন্ধ করার প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিয়ালদহ সেতু মেরামতের পর শুরু হবে ঢাকুরিয়া সেতু সংস্কারের কাজ। ওই সেতুর উপরের পিচের আস্তরণ তুলে নতুন করে পিচ করা হবে, সেতুর জয়েন্টের অংশের গার্ডারগুলিও বদল করা হবে। কেএমডিএর এক কর্তা বলেন, ‘রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সংস্কারের কাজ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। ওই সময়ে গাড়ির চাপ কম থাকে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেই পদক্ষেপ করা হবে।’