Pakistan New Prime Minister: নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল পাকিস্তান, দ্বিতীয়বার কুর্সিতে শাহবাজ শরিফ
এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
ঘোষণা হল পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর নাম। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ। PTI-এর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খানকে পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ।রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্যরা সমবেত হন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হয় পাকিস্তানে। জাতীয় পরিষদের ২৬৪টি আসনের মধ্যে ৯০ আসনে জয়লাভ করে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। ৭৯ আসনে জেতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। অন্যদিকে, ৫৪টি আসন পায় বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি।
যেহেতু কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি তাই গঠন হয় জোট সরকার। নতুন সরকার গঠন করতে চাইছেপিএমএল-এন এবং পিপিপি সহ আটটি দল জোট। তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন শাহবাজ শরিফ। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে শাহবাজই।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসেপাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পদত্যাগ করেন। সেই সময় শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে পাকিস্তানে। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দলটিকে বাতিল ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। নিজেদের দলের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি পিটিআইয়ের প্রার্থীরা। পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। ফলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন দলটির নেতারা। এবারের নির্বাচনে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি সরকার গঠন করার জন্য। পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থান পায় পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় এমএল-এন ও পিপিপি। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসন পেতে পিটিআই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
স্বতন্ত্র ৯২ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৮৯ জন যোগ দেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি)। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ১০টি সংরক্ষিত আসন চেয়েও এখনও বরাদ্দ পাননি। পিপিপি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পদে শাহবাজ শরিফকে সমর্থন করেছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও ইস্তেকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি। পিটিআই নেতা ওমর আইয়ুবের সমর্থনে ছিল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল।