Saudi Arabia: কর্মীদের জন্য সুখবর! চলতি বছরে আরও মোটা বেতন সৌদি আরবে
এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
প্রতি বছর কর্মসূত্রে বহু ভারতীয় সৌদি আরবে পাড়ি দেন। ২০২৪ সালে কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা সেদেশে। মনে করা হচ্ছে সেদেশে চাকরির সুযোগও বাড়বে। চলতি বছরের সে দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগ বাড়তে পারে। ২০২৪ সালে কর্মীদের গড়ে ৬ শতাংশ বেতন বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটি।২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে ফুঁলেফেঁপে উঠতে চাইছে সৌদি আরব। সেই কারণে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের চাকরির প্রতি আকৃষ্ট করতে হলে বেতন কাঠামোর মজবুত হওয়া জরুরি। সেই কারণে উচ্চ বেতন দিয়ে কর্মীদের আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্ততন আনা হচ্ছে এবং হাইড্রোকার্বন কমানোর ঘোষণা করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৯ শতাংশ নিয়োগকর্তা এই বছর তাদের কোম্পানির কর্মশক্তি বাড়াতে চাইছেন। ৭৭ শতাংশ নিয়োগকর্তার ভবিষ্যদ্বাণী তাঁদের সংস্খায় এই বছর বেতন বৃদ্ধি হবে। সৌগিত কর্মী উন্নয়ন ও নিয়োগ বিশেষজ্ঞ কুপার ফিচের কথায়, উন্নয়নের দিকে ব্যাপক নজর দিচ্ছে সৌদি সরকার। ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও অত্যাধুনিক নিওম শহর গড়ে তুলেছে।
চলতি বছরের বাজেট বিবৃবিতে সৌদির অর্থ মন্ত্রণনালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর সৌদি সরকার বেসরকারি খাতে ১১ লাখ ২ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করে। এই বছর সেই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা আরও অনেক বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সৌদি সরকার কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করেছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্য়ে সৌদি সরকার কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে আগ্রহী। রেড সি প্রজেক্ট এবং আলুলার মতো উদ্যোগও শ্রমিকদের চাহিদা বাড়াচ্ছে ও বেতন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এ কারণে দক্ষ শ্রমিকের জন্য প্রবাসীদেরও সুযোগ বাড়বে।
উল্লেখ্য়, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ইসিএ ইন্টারন্যাশনালের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে প্রবাসীদের বেতন সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সৌদি আরবে মিড-ম্যানেজাররা বার্ষিক গড়ে ৮৩,৭৬৩ পাউন্ড বা প্রায় ৯০ লাখ টাকা আয় করেন যা বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতন ভিত্তিক আয়। সবদিক থেকে এগিয়ে না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে জীবন যাপনের খরচ কম এবং ব্যক্তিগত করের হারও কম। এছাড়াও সামগ্রিক প্যাকেজের খরচগুলো বেশ সাশ্রয়ী।