হুগলির গ্যাঞ্জেস জুটমিলে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষ, ব্যাপক প্রভাবিত উৎপাদন
এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
শ্রমিকদের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে কাজ করতে বলা ও সেই বিভাগে বাড়তি কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ দাঁনা বাঁধছিল হুগলির বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস জুটমিলে। যার ফলে অবশেষ কাজ বন্ধ করে দিলেন জুটমিলের একটা বড় অংশের শ্রমিক।জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে এই বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর সঙ্গে আলোচনা হয় শ্রমিকদের। জুটমিল শ্রমিকদের দাবি আগামী ১৫ মার্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক স্বার্থে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই জোর করে শ্রমিকদের অন্য বিভাগে কাজ করতে বলা এবং কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে শনিবার নাইট শিফট থেকে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। যার জেরে তাঁরা কাজে যোগ না দিয়ে বেরিয়ে আসেন। আজ মর্নিং শিফটে যাঁরা কাজে যোগ দিতে আসেন, তাঁদের অন্য ডিপার্টমেন্টে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে কাজে যোগ দেননি সেইসব শ্রমিকরাও। ফলে জুটমিলের পাটঘর, স্পিনিং, বিমা, ম্যাকরোল, ড্রয়িং-এর মত অধিকাংশ বিভাগে কাজ বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, অন্য ডিপার্টমেন্টে কাজ না করলে, ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে দিতে বা কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ওই জুটমিলে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এদিকে জুটমিল কর্তৃপক্ষের দাবি, ৭৩ জন শ্রমিককে অন্য বিভাগে সরানোর কথা বলা হয়েছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধায়কের সঙ্গে মিটিং হয়। সেদিন বিধায়ক জানিয়েছিলেন শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে। তার আগেই শ্রমিকদের একাংশ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে ২০ শতাংশ কর্মী কাজ চালান হচ্ছে বলে জানিয়েছে জুটমিল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এই বিষয়ে আইএনটিটিইউসি-র হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, 'গ্যাঞ্জেজ জুটমিল অনেক পুরনো, করোনার সময়েও ২টি ইউনিচ=ট সমানভাবে চলেছে। গত সপ্তাহে ১৪৫ জন, এই সপ্তাহে ৭৬ জন ও ৪৪ জনকে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের নেতৃত্বরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। বলা হয়েছিল আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত চুপ থাকতে, কারণ ওই দিন মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। কিন্তু ওঁরা সেই ধৈর্য্য দেখাতে পারেননি। ইতিমধ্যে আজকে ফের ১৩৫ জনকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে। যদিও আমার শ্রমিকদের বলেছি, আপনারা কাজ বন্ধ করবেন না।'