• অপুষ্টি ও ডায়ারিয়ায় ভুগে ১৫ শিশুর মৃত্যু গাজায়! কবে থামবে এই মৃত্যুযজ্ঞ'
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গাজায় ১৫ শিশুর মৃত্যু হল। কারও অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যু, কারও ডায়ারিয়া থেকে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আরও অন্তত ৬ জন শিশু অপুষ্টি এবং ডায়ারিয়ায় ভুগছে। তারা হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। কিন্তু হাসপাতালে মাঝে-মাঝেই বিদ্যুৎ-সংযোগের ঘাটতি ঘটছে, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও।

    গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ সঙ্গিন হয়ে পড়ছে। কিছুদিন আগেই গাজায় যুদ্ধের প্রতিবাদে এক মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা নিন্দনীয়। কিন্তু যখন আত্মহত্যা আর ব্যক্তিগত থাকে না, তখন বোধ হয় তার প্রতি নিন্দার স্রোতের অভিমুখও বদলে যায়। যেমন গিয়েছে অ্যারন বুশনেলের ক্ষেত্রে। গাজার উপর যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য কিন্তু এই যুদ্ধের নৃশংসতা তাঁর যোদ্ধা-মনকেও আলোড়িত করেছে।     গাজায় যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য এই অ্যারন। মারা যান ঘটনার রাতেই।  ওয়াশিংটন ডিসির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে কয়েকশো মানুষ সমবেত হয়ে তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরের বাসিন্দা অ্যারন বুশনেল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলতে থাকা যুদ্ধ এবং ইজরায়েলি আক্রমণে মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র পরদিন সকালেই জানান, রবিবার রাতেই মারা গিয়েছেন অ্যারন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, বুশনেলের গায়ে যুদ্ধের পোশাক, গায়ে তরল ঢালতে-ঢালতে তিনি বলছেন, এই গণহত্যায় আর জড়িত থাকবেন না তিনি! শুধু তাই নয়, গায়ে আগুনে জ্বালাবার পরে যতক্ষণ পেরেছেন ততক্ষণ 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' বলে চিৎকার করেছেন!অনেকেই আশা করেছিলেন, আশা করছেনও যে, অ্যারনের মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোভাবে কিছু বদল ঘটবে। যুদ্ধের প্রতি তাঁর অটল সমর্থনে আসবে পরিবর্তন। কিন্তু এখনও তেমন কিছু ঘটেনি। আর তারই মধ্যে এই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা। আলোড়িত সারা বিশ্ব! কবে থামবে এই মৃত্যুযজ্ঞ?
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)