জঙ্গলঘেরা জাতীয় সড়কের পাশে পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নেপালি আদি কবি ভানুভক্ত...
২৪ ঘন্টা | ০৩ মার্চ ২০২৪
অরূপ বসাক: একমোড়ে দুই কবি। দুজনেই মহাকবি-- আদি কবি ভানুভক্ত ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ। দুই কবিকেই দেখতে ভিড় জমান পর্যটকেরা। মালবাজারের নাগরাকাটা ব্লকের ভানু মোড়ে এই দুই মূর্তি রয়েছে।
সালটা ১৯৮২। জলপাইগুড়ি জেলার এক অখ্যাত জনপদ নাগরাকাটা। চাপড়ামারি বনাঞ্চলের মধ্যে মূলত আদিবাসী এবং নেপালি জনগোষ্ঠীর বসবাস। জীবিকা জঙ্গল ও চা-বাগান। এরই মধ্যে নানা ঝড়ঝাপটা সামলে জীবনযাপনের পথে একটু আলাদা কিছু করার তাদিগ অনুভব করে একদল তরুণ। আর সেই তাগিদের সূত্রেই কিছু যুবকের মনে বাসা বাঁধে সাহিত্যপ্রেম। সেই অন্য কিছু করতে চাওয়া তরুণদলের অন্যতম নরম্যান শ্রেষ্ঠ, ভক্ত বাহাদুর বাস্নে, ঘিমরে শর্মা (যাঁকে এই অঞ্চলের মানুষ ঘিমরে বাজে বলেই জানেন), লোক বাহাদুর কার্কি প্রমুখ। এই সাহিত্যপ্রেমী মানুষগুলির উদ্যোগেই ভানু মোড়ে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নেপালি আদি কবি ভানুভক্তের দুটি মূর্তি।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, সেই থেকে (১৯৮৪ সালে) আজও এই দুই মহান কবির জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্রনাথ এবং নেপালি আদি কবি ভানু ভক্তের যুগলমূর্তি একমাত্র নাগরাকাটা ব্লকের এই ভানু মোড়েই রয়েছে। ফলত এই দুই মূর্তি দেখতে আজও ছুটে আসেন ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা বহু পর্যটক।