• প্রেমিকার বিলাসিতা নিয়ে দ্বন্দ্বেই কি খুন হন সার্থক
    এই সময় | ০৩ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: দুটো ফোন আগে থেকেই ছিল দমদমের সংহতি পালের। তার পরেও গত সোমবার ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে আরও একটি ফোন কিনেছিলেন সংহতি। ওই ফোনের টাকা কোথা থেকে এল, মঙ্গলবার রাতে তা জানতে চান লিভ-ইন পার্টনার সার্থক দাস। যার উত্তরে ওই তরুণী জানান, আলমারির লকারে থাকা টাকা থেকেই কেনা হয়েছে ফোন।পুলিশ জেনেছে, পেশায় আলোকচিত্রী সার্থক জবাব চান, কেন ওই টাকায় হাত দেওয়া হয়েছে? কারণ, ক্যামেরা ও লেন্স বিক্রি করে ওই টাকা তিনি রেখেছিলেন বাড়িতে দেবেন বলে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। ওই অশান্তির সময়েই রাগের মাথায় তিনি ছুরি দিয়ে সার্থকের পেটে লাগাতার আঘাত করেন বলে সংহতি জেরায় জানিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

    সার্থকের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সংহতির সঙ্গে সার্থকের সম্পর্ক শুরু থেকেই মেনে নেয়নি তাঁর পরিবার। সংহতির জন্যে বাজারে অনেক টাকা ধারও হয়েছিল সার্থকের। প্রতি সপ্তাহেই ৩-৪ দিন দামি রেস্তরাঁয় খেতে যেতে সংহতি বাধ্য করতেন সার্থককে। বন্ধুরা সার্থককে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছিলেন। সে কথা জেনে সংহতি ইদানীং বন্ধুদের সঙ্গেও সার্থককে যোগাযোগ রাখতে দিতেন না। পরিকল্পনা করেই সংহতি সার্থককে খুন করেছেন বলে দাবি বন্ধুদের।

    বছর দশেক আগে দক্ষিণেশ্বরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ দমদমের সংহতির। দু’জনের একটি ছেলেও হয়। তবে বছর দু’য়েক আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। সংহতির বিলাসপূর্ণ জীবনের নেশা নিয়েই দক্ষিণেশ্বরের যুবকের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব বেধেছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘পরিকল্পনামাফিক খুন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
  • Link to this news (এই সময়)