বিহারের বক্সারে হাড়হিম কাণ্ড। প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবক। তবে সেখানে গিয়ে যে এমন পরিণাম হবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। সাক্ষাতের পর মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলল প্রেমিকা। প্রেমিকার যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তরুণীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে জুটেছে বেধড়ক মারধর।প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে বিপাকে যুবক। অভিযোগ, যুবককে বাড়িতে ডেকে বেধড়ক মারধর করে যৌনাঙ্গ কেটে দেয় প্রেমিকা। আহত অবস্থায় যুবক কোনও মতে পৌঁছন মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা চলে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তবে যুবকের অবস্থা এতটাই শোচনীয় ছিল যে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইনি হাসপাতাল। রেফার করা হয় সদর হাসপাতালে। বর্তমানে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে জেলা সদরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
বিষয়টি ঠিক কী?
আক্রান্ত যুবক ভোজপুর ওপির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলের দিকে তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায় তাঁর প্রেমিকা। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে ওই দিন যুবক ডুমরাঁও এলাকায় তরুণীর বাড়িতে যান যুবক। অভিযোগ, প্রেমিকার বাড়িতে যাওয়ার পরই তাঁর উপর চড়াও হয় তরুণী সহ তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে, কেটে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গ। জ্ঞান হারান যুবক। তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। অভিযোগ, এরপরে ওই তরুণী যুবককে মৃত বলে ধরে নিয়ে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে কোনওরকম উঠে নিজেই মহকুমার হাসপাতালে পৌঁছন যুবক। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর। বিষয়টি পরে পরিবারের সদস্যদের জানান যুবক।
বিষয়টি শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরাও। অভিযোগ, যুবকের প্রেমিকা সব কিছু আগে থেকে পরিকল্পনা করেই রেখেছিল। ষড়যন্ত্র করেই এসব কিছু ঘটিয়েছে সে। অভিযোগ, মারধর করে যুবকের গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়। তরুণীর বাবা-মা ছাড়াও প্রেমিকার পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যুবকের পরিবার।
বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন যুবককে সারিয়ে তোলার জন্য। চিতিৎসকরা জানিয়েছেন, যৌনাঙ্গের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্তের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। বক্তব্যের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।