• Babul Supriyo: '২০২৬-এ মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই লক্ষ্য...', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক বাবুল
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়টি একপ্রকার স্পষ্ট করে দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার শিবপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। বাবুলের কথায়, '২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নয়, আসলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট।'

    ঠিক কী বলেছেন বাবুল সুপ্রিয়?তিনি এদিন বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চিরকাল পাবলিসিটি চাইতেন। সুপ্রিম কোর্টের বকাও খেয়েছিলেন।' এখানেই শেষ নয়, বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'হয়তো লোকসভা ভোটে তিনি দাঁড়াবেনই না। তাঁর মূল লক্ষ্য হবে ২৬-এ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বিজেপির মুখ হবেন।' তিনি আরও বলেন, ' যদি সত্যি তিনি সমাজ সংস্কার করতে চাইতেন তাহলে যে দলে তিনি যোগদান করতে চান সেই দলের দুর্নীতিগ্রস্তদের সিবিআই এবং ইডি তদন্তের মাধ্যমে তাদের জেলে পাঠাতেন। তা না করে তিনি নিজের টিকিট পাকা করতে চাইছেন।'

    পাশাপাশি পবন সিংয়ের ভোটে লড়াই না করার বিষয় থেকে যাতে নজর ঘোরানো যায় সেই কারণে পুরো বিষয়টিই ছক কেটে করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    গতকাল সন্ধ্যায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোজপুরি নায়ক ও গায়ক পবন সিংকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। রবিবার পবন সিং টুইট করে জানান তিনি ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চান না। এই দিন সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বাবুল সুপ্রিয়।

    'কুণালবাবুকে আমার ভালো লেগেছে' মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    তিনি বলেন, 'পবন সিং তাঁর গানে বাঙালি মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বাঙালি মহিলাদের ঘৃণা করেন। তাই তাঁর নাম যখন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় তখন সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিজেপি ভুল বুঝতে পারে। বিজেপির চাপেই তিনি টুইট করে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেন। তিনি বিহার, উত্তরপ্রদেশ যে কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু, বাংলার মহিলারা তাঁকে ক্ষমা করবেন না।'

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় অবশ্য পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরপর দুই বার তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। পরে BJP ছাড়ার পর তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং তৃণমূলে যোগদান করেন। উপনির্বাচনে লড়ে হন বিধায়কও।
  • Link to this news (এই সময়)