• Kolkata Municipal Corporation : মরশুম শুরুর আগেই আবাসনে ডেঙ্গি লাগামে উদ্যোগী পুরসভা
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: বাড়ির তুলনায় শহরের আবাসনগুলিতেই প্রতি বছর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার দাপট থাকে বেশি। যার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে পুরকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই আবাসনের অসহযোগিতাকে দায়ী করে আসছেন। সেই সমস্যা মেটাতে শহরের সব বরোকে এখন থেকেই আবাসনগুলির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কমাতে জমা জলের খোঁজে শহরের সব প্রান্তেই অভিযান চালান পুরকর্মীরা। কিন্তু ১০টি আবাসনের মধ্যে ৬টিতেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। এমনকী, পুরকর্মীরা জোর করে ঢুকতে গেলে নিগ্রহের খবরও মিলেছে। আবার, যে আবাসনে পুরকর্মীরা ঢুকেছেন, সেখানকার বেসমেন্ট, ফ্রিজ, কুলারের ট্রে, ফুলের টব থেকে শুরু থেকে ছাদে পড়ে থাকা কন্টেনারে লার্ভার সন্ধান মিলেছে।

    এ বার তাই বরোগুলিকে বলা হয়েছে, ওয়ার্ড ধরে ধরে বিভিন্ন আবাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে। কেন পুরকর্মীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়াটা জরুরি, তা বোঝানো হবে বাসিন্দাদের। কোন সময়ে পুরকর্মীরা গেলে তাঁদের পক্ষে সুবিধে হয়, জানতে চাওয়া হবে তা-ও। এ ছাড়া ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করণীয়, আক্রান্তদের জন্য কী পদক্ষেপ করতে হবে, সে সবও তুলে ধরবেন পুরকর্মীরা।

    বরোগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও ফ্ল্যাটে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিললে তার ৫০ মিটারের মধ্যে আর কোথাও কারও জ্বর হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে সার্ভে করতে হবে। কোনও বাড়িতে জ্বর হলেই আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মশা দমনের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে।

    কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মধ্যে গাছ লাগানোর প্রবণতা এখন খুব বেশি। অথচ, তার জল যে পাল্টাতে হয়, সেটা অনেকেই জানেন না। পুরকর্মীরা সব আবাসনে ঢুকতে পারলে আবাসিকদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারবেন।’ ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি আবাসনের তরফে কৌশিক মিত্র বলেন, ‘আবাসন কমিটিকে অভিযানে যাওয়ার কথা আগাম জানিয়ে রাখলে আমাদের পক্ষে সুবিধে হয়। আমরাও অভিযানে সহযোগিতা করতে পারি।’
  • Link to this news (এই সময়)