এই সময়: ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহেই পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। মার্চের শুরুতে নতুন করে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা যে খুব বেশি, সে কথা জানিয়েছিলেন আবহবিদরা। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে রবিবার সকাল থেকেই মুখ ভার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশের। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমের মতো রাজ্যের পশ্চিম দিকের জেলাগুলোয় এদিন সকালে একপ্রস্ত ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে।আলিপুর হাওয়া অফিস এদিন সকালে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী কাল, মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব বেশি। উত্তরবঙ্গের যে জায়গাগুলো হিমালয়ের একেবারে কোলে রয়েছে, দার্জিলিং ও কলিম্পংয়ের সেই পার্বত্য এলাকাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শীতের শেষ আমেজটুকু কাটিয়ে বাংলা, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গ যখন দীর্ঘ গরমের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে, তখনই আবহাওয়ার এমন নাটকীয় পরিবর্তন কেন?
এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলছেন, ‘নতুন করে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকে পড়ার জন্য এমন হয়েছে। ওই ঝঞ্ঝার প্রভাবে প্রথমে কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। এবার ওই ঝঞ্ঝা বাংলার দিকে এগিয়ে আসার ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’ কোনও কোনও জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন আবহবিদরা। রবীন্দ্রর বক্তব্য, বুধ ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটের উপর কমই থাকবে। তবে তার পর থেকে তাপমাত্রা আবার একটু করে বাড়তে শুরু করবে।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এদিন সকাল থেকে সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকায় অস্বস্তি ভালোরকমই ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে এই মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প রাজ্যে ঢুকছে। সেই কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকায় বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এক ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় চার ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে।