Cruise Ship: গঙ্গার পর এবার নর্মদায় ক্রুজ়, বাংলাকে আমন্ত্রণ মধ্যপ্রদেশের
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
এই সময়: তোপসে, আফ্রিকা বলতে তোর প্রথম কী মনে পড়ে?—‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে ফেলুদার প্রশ্নের উত্তরে তোপসে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জানিয়েছিল জঙ্গলের কথা। শুধু আফ্রিকা নয়, মধ্যপ্রদেশ বলতে গড়পড়তা বাঙালিরও প্রথম মনে পড়ে সেখানকার জঙ্গল এবং ভারতের জঙ্গলের রাজা বাঘের কথাই। বান্ধবগড়, কানহা, পেঞ্চ, পান্না—একের পর এক জঙ্গল এবং সেখানকার অসামান্য জীববৈচিত্র্যর টানে প্রতি বছর বাংলা থেকে বহু মানুষের সমাগম হয় দেশের অন্যতম পর্যটন-বান্ধব এই রাজ্যে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ মানে শুধুই জঙ্গল এবং নানা ধরনের জন্তু নয়, নতুন বছরে এই রাজ্যে বেড়াতে গেলে নর্মদা নদীর উপর প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে রিভার ক্রুজ়ের রোমাঞ্চও পাবেন পর্যটকরা।
ওঙ্কারেশ্বরে শঙ্করাচার্যের মূর্তি থেকে নর্মদা নদী বরাবর ১৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে একেবারে গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি পর্যন্ত রিভার ক্রুজ় চালু করতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান ওয়াটারওয়েজ় ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা করতে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন মধ্যপ্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র লোধি এবং সচিব শেওশেখর শুক্লা।মন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশে ৭৮০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং তিন হাজারের বেশি লেপার্ড রয়েছে। প্রতি বছর বাংলা থেকে বহু পর্যটক আমাদের রাজ্যে আসেন জঙ্গলের শোভা দেখতে এবং বন্যপ্রাণের সান্নিধ্য পেতে। এবার বাংলার পর্যটকরা আমাদের রাজ্যে নতুন আরও কিছু পাবেন। গঙ্গায় নৌকাবিহারের অভিজ্ঞতা তো আপনাদের রয়েছে। এবার আমাদের রাজ্যে এসে নর্মদায় নৌকাবিহারের অভিজ্ঞতা নিন।’
শেওশেখরের বক্তব্য, ‘গোটা রাজ্যে এক হাজারের কাছাকাছি হোম-স্টে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এগুলো সবই তৈরি হবে রাজ্য সরকারের নির্দেশে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ পর্যটনকে মজবুত করা। আমরা চাইছি, ভিন দেশ ও ভিন রাজ্য থেকে ভ্রমণপিপাসুরা এসে আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষ কী ভাবে থাকেন সেটা দেখুন। এখানকার স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন।’
গ্রামীণ পর্যটনের প্রতি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ বাড়াতে পল্লি উৎসবগুলোকে প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা করছে সেখানকার প্রশাসন। তার সঙ্গে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেশ কয়েকটি ছোট রুটে বিমান পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের।