চিরাচরিত যানবাহনের পথ ছেড়ে এবার গোটা দেশে রোপওয়ে কেবল কার যাত্রা কর্মসূচির প্রসার ঘটাতে উদ্যোগী হলো মোদী সরকার৷ লোকসভা নির্বাচনের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের তরফে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রস্তাবিত ৬৫টি রোপওয়ে প্রকল্পকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রে দাবি৷ ২০২৬-এর মধ্যে ৮টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে৷ ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে দেশে প্রথম রোপওয়ে তৈরি হয় ১৯৬৮ সালে৷তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৫ কিলোমিটার রোপওয়ের কাজ হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য৷ এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রস্তাবিত রোপওয়ে প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের কাজ হবে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে৷ ৩০টি প্রকল্পকে সবার আগে সম্পন্ন করার লক্ষমাত্রা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট থেকে গোদালিয়া চক পর্যন্ত নির্মীয়মাণ রোপওয়ে৷ এতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং বারাণসী রেল স্টেশনের মধ্যে যাত্রাপথ ৪৫ মিনিট থেকে কমে মাত্র ১৬ মিনিট হয়ে যাবে বলে সরকারি সূত্রের দাবি৷
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সাধারণ বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সরকারি উদ্যোগে পিপিপি মডেলে ন্যাশনাল রোপওয়েজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন৷ নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি ইতিমধ্যেই সরকারের শীর্ষ স্তরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জন্য ২০০টি রোপওয়ে কেবল কার প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব দিয়েছেন। এজন্য ১,২৫,০০০ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করার অনুরোধ করা হয়েছে৷
সূত্রের দাবি, যে সব রাজ্যে ৩০টি কেবল কার রোপওয়ে প্রকল্পকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছে, তার মধ্যে আছে উত্তরপ্রদেশ, অসম, হিমাচলপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্তাবিত কেবল কার রোপওয়ে প্রকল্পটি হলো উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে গৌরীকুণ্ড পর্যন্ত পথে৷ ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোপওয়ে পথে চারটি স্টেশন রাখার কথা ভাবা হয়েছে৷ প্রতিদিন গড়ে ৩৬,০০০ লোক এই রোপওয়েতে যাত্রা করবেন বলেও আন্দাজ করা হচ্ছে৷