India-Taiwan Relations : তাইওয়ান-মন্ত্রীর ইন্টারভিউ নিয়ে চিনের রোষে ভারত
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ক’দিন আগে ভারতীয় চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছে তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ ইউ-এর সাক্ষাৎকার, তা নিয়ে সুর চড়াল চিন। তাইপেইয়ের অবশ্য স্পষ্ট বক্তব্য, তাইওয়ান এবং ভারত গণতান্ত্রিক দু’টি দেশ। ফলে তাদের নিজস্ব প্রেস ফ্রিডম রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারত সরকার কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নীরব।
ভারতের চিনা দূতাবাসের বক্তব্য, ‘২৯ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছু ভারতীয় টিভি চ্যানেল তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। এর মাধ্যমে ওরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গেল, আর সেটার মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে এক-চিন নীতির বিরুদ্ধ। কোনও ভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না।’প্রসঙ্গত, ভারত বরাবরই ‘এক চিন নীতি’ নিয়ে চলেছে। তাইওয়ানের সঙ্গে আলাদা কোনও কূটনীতিক যোগসূত্রও নেই ভারতের। ‘ওয়ান চায়না প্রিন্সিপ্যাল’ বা ‘এক চিন নীতি’র অর্থ, বিশ্বে একটাই মাত্র চিন। তাইওয়ান চিনেরই অংশ। আর ‘পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না’-র সরকারই পুরো চিনের একমাত্র বৈধ প্রশাসন। চিন নিজে বরাবর এই নীতির প্রচার করে থাকে, ভারতও এই নীতিকে সমর্থন করে। সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানকে কখনও স্বীকৃতি দেয় না চিন। ভারত অবশ্য কখনওই তাইওয়ান সম্পর্কে তাদের অবস্থান আলাদা করে উল্লেখ করেনি। এমনকী চিনা দূতাবাসের এই কড়া বার্তার পরও ভারত সরকার নীরব।
তবে পাল্টা মুখ খুলেছে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, ‘ভারত বা তাইওয়ান পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার অংশ নয় এবং আমরা কেউ ওদের হাতের পুতুল নই। ভারত এবং তাইওয়ান স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশ। দু’দেশেই স্বাধীন সংবাদমাধ্যম রয়েছে, যাদের উপর স্বৈরাচার চলে না।’ তবে তাইওয়ানের উপর সামরিক ভাবেও চাপ সৃষ্টি জারি রেখেছে চিন।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ২১টি চিনা যুদ্ধবিমান এবং ছ’টি চিনা যুদ্ধজাহাজকে তাইওয়ান ভূখণ্ডের খুব কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। পাল্টা তাইওয়ানও চিনা সেনার উপর নজরদারি চালাতে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান চিনা ভূখণ্ডের কাছে মোতায়েন করেছে বলে সূত্রের খবর।