‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানে হারবেন’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ আইনজীবী কল্যাণের
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তিনি রাজনীতিতে নামছেন, এ কথা তিনি জানিয়েছেন। তবে, কোন দলের হয়ে কাজ করবেন? সেটা নিশ্চিত করেননি। কোনও দলে যোগ দিলে তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে, এমনটাই ধরে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে ‘তিনি যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারবেন’ এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে আগামী মঙ্গলবার বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি এও জানিয়েছেন, কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তিনি। এরপরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তাঁর সমর্থিত দল হবে কোনটি? তবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে নয়, সেটা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন।
তাঁর যে কোনও বিরোধী দলে যোগদানের বিষয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছেন একের পর এক তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। হুগলি জেলার কোন্নগরের ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সমাবেশ’-এর সমর্থনে তৃণমূলের পথসভায় অংশ নেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতির পদে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যেখানে দাঁড়াবে সেখানে হারাব। আসুক রাজনীতির ময়দানে।’
তাঁর বক্তব্য, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর জামানায় বিচার ব্যবস্থাকে নষ্ট করা হয়েছে। প্রলোভন দেখিয়ে বিচারপতিদের কিনতে চেয়েছে। নিজেদের কাজে লাগিয়েছে। একজন ভারতের প্রধান বিচারপতি বড় বড় মামলা শোনার পর রাজ্যসভার এমপি হয়ে যায়। আবার কেউ রাজ্যপাল হয়ে যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও ইস্তফা করিয়ে লোকসভার এমপি করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি অত সহজ নয়। এতদিন ওই পদে বসে অপব্যবহার করেছ। এসো এবার রাজনীতির ময়দানে দেখি কত ক্ষমতা।’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতির ময়দানে আসুক এমনটা আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। এমনকি, শাসক দলের এই প্রস্তাবের কারণে তিনি রাজনীতিতে আসছেন বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি প্রথম থেকে বলেছি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার করছেন। আজ প্রমান হল। এর আগে শুভেন্দু-রাজীবরা যখন বিজেপিতে যায়, আমি আট মাস আগে বলে দিয়েছিলাম।’সাংসদ বলেন, ‘বাংলা নয় ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থার একটা কলঙ্ক উনি।ওনার মত লোকের জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি হারাচ্ছে মানুষ।’