রাজ্যে এসেই কড়া বার্তা কমিশনের ফুল বেঞ্চের, আজ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
রাজ্য এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আর বাংলায় পা রেখেই কাজ শুরু করে দিল তারা। রবিবার দ'টি দলে ভাগ হয়ে রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে বেঞ্চের বাকি সদস্যরা অবশ্য পৌঁছে যান গতকাল দুপুরেই।একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) আরিজ আফতাব এবং রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমারের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করেছেন বেঞ্চের সদস্যরা। তবে ফুল বেঞ্চের মধ্যে একমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সেই বৈঠকে ছিলেন না। সূত্রের খবর বেঞ্চ রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়েছে। ভোটার তালিকা, বুথ প্রস্তুতি ও আদর্শ আচরণ বিধি নিয়ে কমিশনের যে নির্দেশিকাগুলি রয়েছে তার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে কেমন কাজ হয়েছে, ফুল বেঞ্চ প্রথমদিনই তার খতিয়ান নিয়েছে। এমনকী কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, সেটাও বেঞ্চের সদস্যদের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে ইতিমধ্যেই চলে আসা ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং তাদের রুট মার্চের বিষয়েও রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানমা যাচ্ছে।
আজও দফায় দফায় বৈঠক রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এদিন রাজ্যের স্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বেঞ্চের সদস্যরা। প্রতিটি দলকেই নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য ১৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। তার জন্য কলকাতার একটি বেসরকারি হোটেলে মোট ২ ঘণ্টার বৈঠকে মিলিত হবে তারা। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্য সহ মোট ১৫ জনের। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে বৈঠক।
এখানেই শেষ নয়, রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক শেষ করার পর রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিএম, এসপি, ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ফুল বেঞ্চের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের লোকসভা ভোটের যাবতীয় দায়িত্ব হাতেকলমে বুঝিয়ে দেবে কমিশন। এছাড়া ওই বৈঠকে নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্ল্যানও সেরে নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে এখন দেখার পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের ঠিক কী কী নির্দেশ দেয় কমিশনের ফুল বেঞ্চ।