• Lok Sabha Election 2024: শহরেও টহল বাহিনীর, স্কুলে ক্যাম্প নিয়ে পদক্ষেপ সংসদের
    এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: শনিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে শুরু করে দিয়েছিল। রবিবার বাহিনী ঢুকে পড়ল কলকাতাতেও। ভাঙড় থেকে রাজাবাগান, কসবা থেকে বেহালায় পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় জওয়ানেরা। রবিবার ছুটির দিনে বড় এবং ছোট রাস্তায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রুট মার্চ করেন জওয়ানেরা। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা।শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে বিএসএফ-এর সাত কোম্পানি বাহিনী কলকাতায় চলে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে যেসব স্কুলে একাদশের পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলিকে বাদ রেখে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়—এই মর্মে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফেও প্রয়োজনে এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও আর্জি জানানো হবে।

    ভোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই বঙ্গে পা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে নানা স্কুলে। কিন্তু বর্তমানে অনেক স্কুলে একাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল এবং লিখিত পরীক্ষা চলছে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত যে সব স্কুলে এই পরীক্ষা রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে না রাখার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসনগুলির দ্বারস্থ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

    সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের কাছে আগে থেকে এর কোনও খবর ছিল না। আচমকাই জানা গিয়েছে, বাহিনী আসছে। অনেক স্কুলে একাদশের পরীক্ষা চলছে। ফলে আমরা জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছি। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের কাছেও আবেদন করব। যেন যে সব স্কুলে পরীক্ষা আছে সেগুলিকে ক্যাম্পের বাইরে রাখা হয়।’ পাশাপাশি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না-হয়, সেজন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ স্কুলগুলিকে ফের করোনা পর্বের মতো অনলাইন ক্লাসে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেবে।

    কমিশন সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় কসবা, পর্ণশ্রী, গার্ডেনরিচ, সার্ভে পার্ক, পূর্ব যাদবপুর, নিউ মার্কেট, বড়তলা, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং ভাঙড় থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জন্য স্কুল এবং বড় কমিউনিটি হলে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিএসএফ-এর একটি দল কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে পৌঁছয়। সেখানেই তাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়।

    এদিন সকালে দক্ষিণ এবং পশ্চিম বন্দর এলাকায় এক কোম্পানি বাহিনী পৌঁছনোর পর গার্ডেনরিচ, মেটিয়াব্রুরুজ, রাজাবাগান এলাকার অলিগলিতে রুট মার্চ শুরু করে তারা। সদ্য কলকাতা পুলিশে যুক্ত হওয়া ভাঙড় এলাকাতেও বাহিনী রুট মার্চ করে। ওই এলাকাটি এমনিতে উত্তেজনাপ্রবণ। প্রায়ই ভোটের সময়ে গোলমাল লেগে থাকে। সে কথা মাথায় রেখেই ওই এলাকাটি কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হয়েছে। এদিন জওয়ানদের ভাঙড় হাইস্কুলে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    জঙ্গলমহল, পাহাড়, কলকাতা, মালদা, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক প্রান্তে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে বলে খবর। এই কারণে খাস কলকাতার বেথুন-সহ নানা স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর অবশ্য খবর, ইতিমধ্যে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন কোন স্কুলে ক্যাম্প করেছে, সেই সামগ্রিক চিত্রটা জোগাড় করা হচ্ছে। সেই ছবিটা পরিস্কার হলে পঠনপাঠন এই ভোটের মরশুমে স্কুলগুলি কীভাবে করবে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে তারা।
  • Link to this news (এই সময়)