পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া মুইজ্জুর! মলদ্বীপকে ভারতের আর্থিক সাহায্যের কথা স্মরণ জয়শংকরের
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারত কী মলদ্বীপকে হেনস্থা করছে? এই প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর। অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। হেনস্থা করলে, প্রতিবেশীকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ভারত দিত না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।কী বলছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী
ঘটনার সূত্রপাত গত জানুয়ারি মাসে। মলদ্বীপ ছোট দেশ বলে অন্য কোনও দেশকে হেনস্থার অধিকার দেয়না বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। রবিবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকর। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় মুইজ্জুর ‘হেনস্থা’ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রকে হেনস্থা করে কীনা, তা জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর জানিয়েছেন, গত ১০ বছরের ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে সবচেয়ে বেশি সচেষ্ট হয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই উন্নতিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে মনে করছেন তিনি। এরপরেই কড়া জবাব দিয়ে বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেকেই ভারতকে ‘বিগ বুলি’ বা হেনস্থাকারী দেশ হিসেবে হিসেবে মনে করছে। দিল্লি যদি ‘বিগ বুলি’ হয়, তবে প্রতিবেশী দেশের বিপদে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করত না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কোভিডের সময় অন্য দেশে ভ্যাাকসিন সরবরাহ করা হত না বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
ভিডিয়ো ভাইরাল
‘বিগ বুলি’ নিয়ে জয়শংকের মন্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করার পাশাপাশি কীভাবে দিল্লি প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে, তা প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি। এ ব্যাপারে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি এমনকী মলদ্বীপের সঙ্গেও দ্বীপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের হার দেশগুলিতে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি চিনাপন্থী প্রেসিডেন্ট বলে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্য দিল্লিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তা চরমে ওঠে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর। লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন প্রসারে মোদীর বার্তাকে ঘিরে। ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন মুইজ্জু সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের।