Sikkim Railway Station : কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে রেল স্টেশন, এনজেপির বদলে ট্রেনে সিকিমের কত দূর পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন?
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
দিঘা-পুরী-দার্জিলিং প্রিয় বাঙালির ভ্রমণের বাকেট লিস্টে প্রথমদিকেই থাকে সিকিম। পর্যটকদের কাছে লাচেন-লাচুং, বাবা মন্দির, নাথু লা, ছাঙ্গু লেক অন্যতম ফেভারিট ডেস্টিনেশন। বর্তমানে সিকিম যাওয়ার জন্য পর্যটকদের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে গাড়ি ধরতে হয়। তবে সেই ঝক্কির দিন এবার শেষ হতে চলেছে। এক ট্রেনেই এবার সিকিম পৌঁছে যাওয়া যাবে।ট্রেনে চেপে সিকিমের কোন স্পটে?সিকিম বেড়ানো এবার অনেকটাই সহজ হয়ে যাচ্ছে পর্যটকদের কাছে। সোজাসুজি সিকিটম পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে রেললাইন। ফলে এক ট্রেনেই সোজা এই তুষারে মোড়া পাহাড়ি রাজ্যে পৌঁছনো হয়ে উঠবে অনেকটাই সহজ। জানেন কি সিকিমের কোন অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে স্টেশনটি? কত পর্যন্ত ট্রেনে চেপেই যেতে পারবেন পর্যটকরা?
সিকিমের রেল স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে রংপোতে। কালিম্পং ঘেঁষা এই অঞ্চলে সোজা ট্রেনে করে গিয়ে নামতে পারবেন পর্যটকরা। তারপর সেখানে থেকে একাধিক স্পটে পৌঁছে যাওয়া যাবে খুব সহজেই।
এতদিন পর্যন্ত সড়ক এবং বিমানপথের উপর ভরসা করতে হত পর্যটকদের। রংপোর এই স্টেশনে নির্মাণে এতদিন পর্যন্ত সড়ক এবং বিমানপথের উপর ভরসা করতে হত পর্যটকদের। এর আগে সিকিমে কোনও রেলপথ ছিল না। ৪৯ বছর পর শেষ পর্যন্ত এটি বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ আগরওয়াল বলেন, 'সিকিমের রংপো এলাকাটি পর্যটকদের কাছে তো বটেই সেনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্পট। তিনটি ধাপে রাজ্যের সরকার এই প্রজেক্টে মান্যতা দিয়েছে। প্রথম ধাপে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল প্রজেক্ট। দ্বিতীয় ধাপে রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রেলপথ এবং শেষ ধাপে গ্যাংটক থেকে নাথু লা পর্যন্ত রেললাইন।'
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মধ্যে এই রেলপথ নির্মাণের ডেডলাইন ধার্য হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। বন্যা, হড়পা বান, ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সিকিমের রেলপথ নির্মাণের কাজ কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে।
কী কী বিশেষত্ব সিকিমের রেল স্টেশনের?সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার পথে বিস্তৃত হবে এই রেললাইন।এর মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার সিকিমে এবং বাকি সাড়ে ৪১ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পড়ছে।শিলিগুড়ি রেল স্টেশন থেকে এই রেললাইন ২৬ কিলোমিটার দূরে।সেবক রেল স্টেশনের পুনর্বিকাশের কাজও শুরু হয়েছে।এই প্রজেক্টের আওতায় ১৪টি টানেল, ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ন'টি ছোট সেতুর নির্মাণও হবে।৬০-৬৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।৮৬ শতাংশ পথে রয়েছে টানেল।এক মাসে আমরা ১৫ মিটার অংশ খনন হয়েছে।