'দলে থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি পেয়েছে-খেয়েছে', নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
পূর্ব মেদিনীপুরের বুকে দাঁড়িয়ে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আক্রমণ করলেন 'গদ্দার' বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'দলে থাকাকালীন, সব থেকে বেশি পেয়েছে, সব থেকে বেশি খেয়েছে। আর এখন কোর্টে গিয়ে চাকরি খেয়ে সাধু সেজে বসে আছে।' একইসঙ্গে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করলেন মমতা।মমতা বলেন, 'গায়ের জোরে, কাউকে খুন করে, কাউকে লুঠ করে, নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে অন্যদের বলছে চোর। চোরের মায়ের বড় গলা। মনে রাখবেন গদ্দারদের কমরেডরা, গদ্দারবাবুরা, জীবনে সব থেকে বেশি পেয়েছে দলের থেকে, যখন দলে ছিল, সবে থেকে বেশি খেয়েছে, যা আমরা কোনওদিনও ভাবতে পারিনি। আর লঙ্কাকাণ্ডের মতো নিজে পাছে ধরা পড়ে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে... কোর্টে গিয়ে গরীব ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়ে সাধু সেজে বসে আছে। এই সাধুগিরি আমরা বের করবোই।'
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার চাকরি দিতে চাইলেও, বিরোধীরা মামলা করে তা আটকে রেখেছে বলে এর আগেও অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর আগে একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'চাকরি রেডি আছে, সিপিএম - কংগ্রেস - বিজেপি মামলা করে চাকরি আটকে রেখেছে।' তিনি বলেন, 'মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করব, প্লিজ নতুন ভেকেন্সিগুলো ফিল আপ করার ব্যবস্থা করে দিন।'
গত জানুয়ারি মাসে বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'টিচারের পদ রেডি আছে, কয়েক হাজার টিচার নেব। কিন্তু কোর্ট কেসে আটকে রেখে দিয়েছে সিপিএম - বিজেপির কয়েকটা পান্ডা। সিপিএম - কংগ্রেস - বিজেপি, রাম - বাম ও শ্যাম। তাই ছেলেমেয়েদের চাকরি আটকে গিয়েছে। না হলে ৬০ - ৭০ হাজার ছেলেমেয়ে শুধু স্কুলে চাকরি পেতেন।' সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'আমরা চাই যদি কোথাও অন্যায় হয়ে থাকে আদালত সংশোধন করুক, কিন্তু নতুন ছেলেমেয়েরা যাতে সুযোগ পান..., তাঁদের জন্য যে শূন্যপদগুলো আছে অবিলম্বে সেগুলি ফিল আপ করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ শূন্যপদ পূরণ হলে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে শিক্ষকের চাকরি পাবেন'। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে বেশকিছু মামলা চলছে। যার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি ও সিবিআই।