সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, গলায় ফাঁস লাগান দেহ উদ্ধার
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
কোয়ার্টার থেকে গলায় ফাঁস লাগান অবস্থায় উদ্ধার ডায়মন্ডহারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকের দেহ। মৃতের নাম কল্যাণাশীষ ঘোষ। তিনি ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবারথানার পুলিশ।জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন ওই চিকিৎসক। তিনি মানসিক অবসাদে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় গোটা বিষয়টি। পরিবারের তরফ থেকে খবর পেয়ে গভীর রাতে মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের কোয়ার্টারে পৌঁছয় পুলিশ। কর্মীরা পৌঁছে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রয়েছেন ওই চিকিৎসক। এরপরেই তাঁকে উদ্ধার করে ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই চিকিৎসকের মায়েরও মৃত্যু হয়। সোমবার নারায়ণপুরে তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে, রবিবার রাতে তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই তিনি কোনও চরম পথ বেছে নিলেন কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে অম্লানজ্যোতি পুরকাইত নামে মৃত চিকিৎসকের এক সহকর্মী বলেন, 'প্রকৃত কী ঘটনা ঘটেছে বলতে পারব না, সেটা তো ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে।'
প্রসঙ্গত, গতবছরের মাঝামাঝি সময় কলকাতাতেও এক চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি বহুতলের নীচ থেকে উদ্ধার হয় এক চিকিৎসকের দেহ। জানা যায়, ওই বহুতলে থাকতেন চিকিৎসকের বান্ধবী। তাঁর বান্ধবী, থাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানা যায়। সেই সময় বহুতলের একজন জানিয়েছিলেন, ওই চিকিৎসকের বাড়ি সল্টলেকে। প্রথমে জানা গিয়েছিল ওই চিতিৎসক এবং ওই মহিলা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পরে জানা যায় চিকিৎসকের স্ত্রী, সন্তান সল্টলেকের বাড়িতে থাকেন।
এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের সেনা ছাউনির ম্যান্ডেলা হাউস আবাসনে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গতবছর। মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠেছিল তাঁর সঙ্গী চিকিৎসকের দিকে। ঘটনার তদন্তে নেমে একটি সুইসাইড নোট ও অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যার মামলাও দায়ের করে পুলিশ। জানা যায়, ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের সেনা ছাউনির ম্যান্ডেলা হাউস আবাসনে তাঁরা থাকতেন। সেখান থেকেই ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল।