পালস পোলিও টিকা নিতে অনীহা, চিন্তায় হাওড়ার স্বাস্থ্যকর্তারা
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
পালস পোলিও নিয়ে সচেতনতা চালানো হয় গোটা দেশ জুড়ে। জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করে টিকাকরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর পরেও মানুষের মধ্যে অন্ধবিশ্বাস দেখে অবাক স্বাস্থ্য কর্তারা। পোলিও টিকা নিতে রাজি হচ্ছে অনেক পরিবার। ঘটনা হাওড়া জেলায়।কেউ বলছেন পোলিও খাওয়ালে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়বে। কেউ আবার বলছেন, পোলিও না খাইয়ে তো বেশ আছে। সুতরাং কেন খাওয়াব? আবার কেই বললেন, ভগবান আছেন। রোগ দিলে তিনিই সারাবেন। সুতরাং আমাদের বাচ্চাদের পালস পোলিও খাওয়ানোর দরকার নেই। রবিবার পালস পোলিও কর্মসূচিতে গিয়ে এইরকম ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা হল উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মীদের।
রবিবার অনেক শিশুকেই পালস পোলিওর ডোজ না খাইয়ে খালি হাতে ফিরতে হল স্বাস্থ্য কর্মীদের। তবে হাল ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। আবার গ্রামে যাবেন বলেন প্রশাসন সূত্রে খবর। উলুবেড়িয়া ১নং ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার পালাস পোলিও কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে এদিন ব্লকের তপনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমরুক গ্রামে গিযেছিল ব্লকের বিডিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্পিতা রায় সহ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
অভিযোগ, স্বাস্থ্য কর্মীরা শিশুদের পালস পোলিও খাওয়ানো শুরু করলেও একাধিক বাসিন্দা নানা কারণে তাদের শিশুদের পালস পোলিও খাওয়াতে অনীহা প্রকাশ করে। তাদের ফিরে যেতে বলে। বিডিও স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা দীর্ঘক্ষন তাদের বোঝানো সত্বেও তারা রাজী না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওইসব শিশুদের পালাস পোলিও না খাইয়েই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্পিতা রায় জানান, আমরা অনেক বোঝানো সত্বেও ওনারা শিশুদের পালাস পোলিও খাওয়াতে রাজি হয়নি। তাই আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। তিনি জানান, গতবারে সমরুক গ্রামে ৬৮৯ জন শিশু পালস পোলিং ডোজ নিলেও এবারে মাত্র ৬১০ জন শিশু পালস পোলিও ডোজ নিয়েছে। যেটা চিন্তার কারন। তবে সোমবার আবার গ্রামে গিয়ে না খাওয়া শিশুদের পালস পোলিও ডোজ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানান অর্পিতা রায়। উলুবেড়িয়া ১নং ব্লকের বিডিও রিয়াজুল হক জানান শুধু পালস পোলিও নয়, এমন অনেক শিশু আছে যাদের কোনওরকম টিকাও দেওয়া হয়নি। অনেকেই নানারকম কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিযেছেন বলে জানান বিডিও।