• ব্রেক-আপের দুঃখে সুইসাইড 'আত্মহত্যায় প্ররোচনা' নয়, পর্যবেক্ষণ আদালতের
    আজ তক | ০৪ মার্চ ২০২৪
  • প্রেম ভেঙে যাওয়া বা সম্পর্ক ছেদের কারণে দুঃখ পেয়ে যদি কেউ আত্মহত্যা করে, তাহলে তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ গণ্য হয় না। এমনটাই পর্যবেক্ষণ আদালতের। সম্প্রতি আদালত জানিয়েছে, ব্রেক-আপের ধাক্কা বা দুঃখের জেরে কেউ আত্মহত্যা করলে, তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে গণ্য করা যায় না। এই পর্যবেক্ষণের পর প্রেমিকের মৃত্যুতে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত প্রেমিকাকে মুক্তিও দিল মুম্বই আদালত।

    মুম্বই আদালতে একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগের মামলার শুনানি চলছিল। আদালতের তরফে বলা হয়, 'নিজের ইচ্ছামতো সঙ্গী বদল নৈতিগতভাবে অনায্য, তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া বা সম্পর্কে প্রত্যাখান হওয়ার ক্ষেত্রে আইনে কোনও শাস্তি নেই।'

    উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে অতিরিক্ত সেশন আদালতের বিচারপতি এনপি মেহতা তাঁর নির্দেশে বলেন যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে  অভিযুক্তের দিক থেকে সোজাসুজি আত্মহত্যার উপদেশ বা উসকানির প্রমাণ থাকার দরকার। যদি কেউ সম্পর্ক ভাঙার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সেই মানসিক আঘাতে আত্মহত্যা করেন, তবে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারার ১০৭ অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলে গণ্য করা যায় না।

    ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি নীতিন কেনি নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপরই তাঁর পরিবারের তরফে যুবকের প্রাক্তন প্রেমিকা মনীষা ও তাঁর হবু বর রাজেশ পানওয়ারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মনীষার সঙ্গে নীতিনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মনীষা হঠাৎ সম্পর্ক ভেঙে দেয়। দিন কয়েকের মধ্যেই রাজেশ পানওয়ারের সঙ্গে তাঁর বাগদান হয়। মনীষা ও রাজেশ নীতিনের উপরে মানসিক অত্যাচার করত। অন্যদিকে, বিবাদী পক্ষের তরফে জানানো হয়, আত্মঘাতী ওই যুবক সম্পর্ক ভাঙার পরও মনীষার পিছু ছাড়েননি। মনীষা এর জন্য পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন।

    আদালতের তরফে জানানো হয়, দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বোঝা গিয়েছে যে আত্মঘাতী যুবক নিতীন সম্পর্ক ভাঙার কারণে দুঃখী ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে, এমনটা আদালত গণ্য করতে পারে না।

     
  • Link to this news (আজ তক)