লড়াইয়ে এক শটেই বদলে দিতে পারেন পরিস্থিতি, চিনুন বিএসএফের প্রথম মহিলা স্নাইপারকে
২৪ ঘন্টা | ০৪ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লড়াইয়ের ময়দানে বা গেরিলা যুদ্ধে অত্যন্ত বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে স্নাইপাররা। বহু দূর থেকে নিখুঁত নিশায়ায় শত্্রুকে ঘায়েল করে লড়াইয়ের চেহারাই বদলে দতে পারে স্নাইপাররা। স্থলযুদ্ধে সেনাদের কভার দিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনী। এবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী পেল তার প্রথম মহিলা স্নাইপার। ইতিহাস গড়ে বিএসএফের প্রথম মহিলা স্নাইপার হিসেবে যোগ দিলেন সাব ইন্সপেক্টর সুমন কুমারী।
টানা ৮ সপ্তাহ ইন্দোরের সেন্ট্রাল স্কুল অব ইউপন অ্যান্ড ট্যাকটিকে(CSWT) কড়া প্রশিক্ষণ শেষ করে সুমন কুমারী হয়ে গেলেন বিএলএফের প্রথম মহিলা স্নাইপার। স্কুলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, 'বিএসএফের মতো বাহিনীতে সবার সুযোগ রয়েছে। কড়া প্রশিক্ষণের পর এবার বিএসএফে নিয়োগ করা হল এক মহিলা স্নাইপারকে।'পঞ্জাব সীমান্তে একটি প্লাটুনকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়েই সুমন বুঝতে পেরেছিলেন দুদেশের স্নাইপারদের লড়াইয়ের গুরুত্ব কতটা। স্নাইপারদের প্রতি আগ্রহ দেখেই তাঁর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সুমনকে স্নাইপার ট্রেনিংয়ের জন্য সুপারিশ করেন।ইন্দোরের ওই ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউটের আইজি ভাস্কর সিং সংবাদমাধ্য়মে বলেন, কমান্ডো ট্রেনিংয়ের পরই অত্যন্ত শক্ত ওই স্নাইপার ট্রেনিং। সেই কঠোর প্রশিক্ষণ অত্য়ন্ত সফাল ভাবে শেষ করেছে সুমন।হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বাসিন্দা সুমন কুমারী। বাবা ইলেক্টিশিয়ান ও মা গৃহবধূ। সেই পরিবেশ থেকে উঠে এসে ২০২১ সালে বিএসএফে যোগ দেন সুমন। বন্দুকের লড়াইয়ের পাশাপাশি খালি হাতে লড়াইয়েও সমান দক্ষ সুমন কুমারী। ট্রেনিংয়ে অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করেছেন, এমনটাই বলছেন তাঁর শিক্ষকরা। কঠিন পরিবেশে লডা়ই থেকে শুরু করে, ক্যামোফ্লেজ করা দক্ষতা, সব ক্ষেত্রেই তাঁর প্রশংসা করছেন তাঁর প্রশিক্ষকরা।