• আস্ত টাউনশিপে তালা! কারখানা কর্তৃপক্ষের আচমকা সিদ্ধান্তে বিপাকে বাসিন্দারা
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আস্ত টাউনশিপে তালা। আবাসিকরা আবাসনে ঢুকতে বেরোতে অসুবিধায় পরছেন। পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়া থেকে আবাসিকদের বিক্ষোভের জেরে তালা ভাঙতে বাধ্য হল নিরাপত্তা কর্মী।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য সরকারের অধিনস্থ দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টাউনশিপের ভিতর রয়েছে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও রয়েছে প্রাইমারি স্কুল এবং কয়েকশো আবাসিক। তাদের কপালে নেমে আসে চিন্তার ভাঁজ।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ দুর্গাপুরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুর কেমিক্যালস টাউনশিপের মূল প্রবেশদ্বারে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানার কর্তৃপক্ষ আবাসিকদের এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়েই তালা দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।কেন আচমকা তালা দিয়ে মানুষের পথ বন্ধ করল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কী করে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবারের গাড়ি ঢুকবে, বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে, এই অভিযোগ তুলেই শুরু হয় বিক্ষোভ।সোমবার সকালে ওই দুর্গাপুর কেমিক্যালসের নিরাপত্তা এজেন্সিকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করে দেন এলাকাবাসীরা। সেই বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারা এবং শিক্ষক শিক্ষিকারাও।এক আবাসিক সুভাষ রায় অভিযোগ করেন, ‘গত ২৮ তারিখ আচমকায় তালা দিয়ে দেওয়া হয় মূল প্রবেশদ্বারে। একেবারে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়, বিদ্যালয়ের গাড়িও ভিতরে ঢুকতে পারে না। তাঁদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না’।প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মূল প্রবেশদ্বারে এইভাবে তালা দিয়ে দেওয়ায় চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। তাই তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের সামিল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।ওই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক পরমানন্দ কুন্ডু অভিযোগ করেন, ‘তাঁদের এবং পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হচ্ছিল’।আবাসিকদের সঙ্গে তারাও আন্দোলনের সামিল হয়েছেন। ওই বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আওতায় বিদ্যালয় হওয়ার পরেও স্থানান্তর করার কথা জানানো হচ্ছে। তাঁরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এইভাবে যাতায়াতের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়ায় মিডডে মিলের চাল ডালের গাড়ি বিদ্যালয়ের সামনে যেতে পারছে না। পড়ুয়াদেরও হেঁটে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।ওই কারখানার নিরাপত্তা এজেন্সির তরফে নাড়ুগোপাল ঘোষ দাবি করেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনেই তিনি তালা দিয়েছিলেন’। তাই দু'ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চলার পর কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তালা ভাঙে নিরাপত্তা এজেন্সি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোকওভেন থানার পুলিস। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)