প্রবীর চক্রবর্তী: তৃণমূলের জোড়া পদ থেকে ইস্তফার পর এবার শোকজ! দলের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে' মুখ খুলতে নারাজ কুণাল ঘোষ। বললেন, 'আমাকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিমন্ত্রণ করেছে। আমি সন্ধ্যে ৭টায় চা খেতে যাব। আমাকে মিটিংয়ে না ডাকা ওর ভুল হয়েছে, সেটা জানিয়েছেন। সামনাসামনি কথা বলে নেব'।
ঘটনাটি ঠিক কী? 'বেসুরো' কুণাল ঘোষ! স্রেফ তৃণমূলের জোড়া পদ থেকে ইস্তফা নয়, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রীতিমতো খড়গহস্ত তিনি। গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার আক্রমণ করছেন দলের সাংসদকে! কেন? কুণালকে শোকজ করেছে তৃণমূল।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, 'আমি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে কিছু বলব না। যাঁরা আমাকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরাই বলতে পারবেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছিলাম, আছি, থাকব। আমি দল করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দেখে। আমার জীবনে নানা উত্থান পতন গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ খোলা থাকলে প্রচুর জিনিস আসে। আমি গান শুনছিলাম। শোকজ লেটার হল আমার কাছে প্রেমপত্র। আমি দলের চিঠি নিয়ে কোনও কথা বলব না। আমি দলের কর্মী, সমর্থক। ব্রিগেড হতে চলেছে। সামনে ভোট'।এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল ছাড়লেন বিধায়ক তাপস রায়। কুণাল বলেন, 'দাদা ভাইয়ের সম্পর্ক আমাদের। ইস্তফা বা দল ছাড়ার কথা বললেও, যন্ত্রণা থাকলেও যেন বিশ্রামে থাকে। আমি চিঠি ফেরানোর কথা বলতে পারি না। অনুরোধ করব, বিকল্প দলে যেতে হবে না'। তাঁর কথায়, 'আমারও অভিমান আছে। কিন্তু দিনের শেষে দল। নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতার নাম অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সমস্যা মিটিয়ে নেব। অন্য দলে যাবেন না। অনভিপ্রেত পরিস্থিতি হতে পারে'।