সুদীপের বিরুদ্ধে সরব, তাপস ছাড়লেন দল; কুণাল ঘোষের কাছে এল শোকজ নোটিস
২৪ ঘন্টা | ০৪ মার্চ ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: বাড়িতে ইডি অভিযানের জেরে লোকসভা ভোটের মুখে দল ছাড়লেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। দলের সঙ্গে টানা ২৩ বছরের সম্পর্ক শেষ। অপমান, অবহেলা, অভিমানেই দল থেকে সরে গেলেন তাপস। এমনটাই দাবি তাঁর। আর তাপসের দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য কুণাল ঘোষকে শোকজ করল দল। তাঁকে শোকজের নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
তাপস রায়ের দল ছাড়ার জল্পনার মধ্যেই আজ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যান কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেই কথা বলে ফেরার পরপরই কুণাল ঘোষকে শোকজ করে দল। এনিয়ে তাপস রায় বলেন, ব্রাত্য-কুণাল এসেছিল। ওরা আমায় ভালোবাসে ,আমার ভাইয়ের মতো। কুণালরা আমার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবিচেনা যাতে করি তার জন্য অনুরোধ করতে এসেছিল। অবাক হলাম তখনই নাকি ওঁর কাছে দলের তরফ থেকে শোকজ নোটিস আসে। এই হচ্ছে দল। এই দলে যাদের সাসপেনশন হওয়া উচিত, শোকজ করা উচিত এবং বহিস্কার করা উচিত তারা বহাল তবিয়তে আছে। আরও দুঃখের বিষয় মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে আমার বিষয়টি উল্লেখ করতেই পারতেন। কিন্তু শেখ শাহজাহানকে ইডি নিশানা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে শুধু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুধু তাপস রায়ই নয় তাঁকে আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষও। বলেছেন, উত্তর কলকাতায় তিনি একতরফা পার্টি চালান। কাউকে ডাকেন না, কারও তোয়াক্কা করেন না। রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। ভূবনেশ্বরে তিনি যখন বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন তখন তার বিল কে মিটিয়েছে। নেতৃত্বেকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি সুদীপকে বড়সড় শাহজাহান বলেও উল্লেখ করেন কুণাল। সেইসব মন্তব্য কেন করা হয়েছে তা জানতে চেয়েই কুণাল ঘোষের কাছে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন সুব্রত বক্সি।সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দেন কুণাল ঘোষ। দল তার মুখপাত্রের পদে ইস্তফা গ্রহণ করেছে। তবে সম্পাদকের পদে ইস্তফা গ্রহণ করেনি। কুণাল ঘোষ দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, 'দলের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও ইস্তফাটি গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না।' দুদিন আগেই উত্তর কলকাতা থেকে একটি মিছিল বের করেন কুণাল ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে বললেও উতত্র কলকাতায় দল যাকে টিকিট দেবে তার হয়েই প্রচার করব। পাশাপাশি সংবাদমাধ্য়মে তিনি বলেন, তাঁরে বস্তায় বেঁধে রাস্তায় বের করে দিলেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাবেন না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শোকজ করা হলে তিনি তা প্রেম পত্রের মোতই নেবেন।