নারীর ক্ষমতায়ন! বিএসএফ-এ প্রথম মহিলা স্নাইপার সাব ইন্সপেক্টর সুমন কুমারী
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
নারীর ক্ষমতায়নে পক্ষে ফের জোর কেন্দ্রের। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসফএ)-এর প্রথম মহিলা স্নাইপার হয়েছেন সাব ইন্সপেক্টর সুমন কুমারী। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দার নিয়োগের কথা বিএসএফের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে।বিএসএফের প্রথম মহিলা স্নাইপার
মহিলারা যে দক্ষতায় কারোর থেকে পিছিয়ে নেই, তা প্রমাণ করেছেন সুমন কুমারী। মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের ‘সেন্ট্রাল স্কুল অব ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিকস’ থেকে আট সপ্তাহের স্নাইপার কোর্স শেষ করেছেন তিনি। এরপরেই বিএসএফে প্রথম মহিলা স্নাইপার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে।
২০২১ সালে বিএসএফে যোগ দিয়েছিলেন সুমন কুমারী। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবে একটি প্লাটুন কমান্ড করার সময় সীমান্তের ওপার থেকে স্নাইপার হামলার হুমকি প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। এরপরেই স্নাইপার প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডোর পর সবচেয়ে কঠিন প্রশিক্ষণ হচ্ছে স্নাইপার কোর্স। আর সুমন কুমারী মহিলা হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর তা সহজে সেই প্রশিক্ষণ শেষ করতে পেরেছেন তিনি। তাঁর এই সংকল্প প্রশংসিত হয়েছে বিএসএফের মধ্যেও।
কী বলেছে বিএসএফ
ইন্দোরের সেন্ট্রাল স্কুল অব ওয়েপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিকসের আইজি ভাস্কর সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, স্নাইপার কোর্সে মোট ৫৭ জন যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে একমাত্র মহিলা ছিলেন সুমন কুমারী। এ জন্য তাঁকে জানানো হয়েছে অভিনন্দন। সুমন যে বিএসএফের স্নাইপার পোস্টটির জন্য যোগ্য তা জানাতে ভোলেননি রাওয়াত। তাঁর এই সাফল্য বাহিনীর অন্যান্য মহিলাদের আগামী দিনে স্নাইপার কোর্সটি করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুমন কুমারীর কথা
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় জন্ম সুমন কুমারীর। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ছোটবেলা থেকে সেনায় যোগদানের স্বপ্ন দেখতেন সুমন। ২০২১ সালে বিএসএফে যোগ দিয়েছিলেন। পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্ত নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করার সময় সীমান্তের ওপার থেকে স্নাইপার হামলা নিয়ে ধারণা হয় তাঁর। উপযুক্ত জবাব দেবার জন্য স্নাইপার কোর্স করার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্নাইপার কোর্স করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দৃঢ়তা দেখে দেওয়া হয়েছিল কোর্সটি করার অনুমতি।
স্নাইবার বাহিনী
বিএসএফে স্নাইপার বাহিনীর কাজ খুব কঠিন। তাঁরা কোথায় আছেন বা থাকতে পারেন, তা শত্রুপক্ষ টের পায় না। দূরবীন লাগানো রাইফেল থাকে এই বাহিনীর সদস্যদের কাছে। এরপর হঠাৎ শত্রুপক্ষকে লক্ষ্য ছুটে যায় একের পর এক গুলি।