১৫ কোটির হিসাব চেয়েছিলেন সুজাতা, প্রাক্তন স্ত্রীকে জবাব সৌমিত্রর
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
রবিবারই প্রাক্তন স্বামী তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন সুজাতা মণ্ডল। ৫ বছরে সাংসদ তহবিলে পাওয়া ২৫ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে দাবি করেন সুজাতা। শুধু তাই নয়, ওই ১০ কোটি টাকাও কোথায় খরচ হয়েছে এবং বাকি ১৫ কোটি টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুজাতা। এবার সুজাতার এহেন মন্তব্যের জবাব দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, '২০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আর কোথায় কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।'বাঁকুড়ার জয়পুরে তৃণমূল ব্লক কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আপনাদের এখানকার ধান্দাবাজ সাংসদটা ফের আরেকবার টিকিট পেয়েছে, আপনারা জানেন। যদি আগামী ৫ বছর সুরক্ষিত থাকতে হয়, তাহলে ওই সাংসদকে একটা ভোটও দেবেন না। ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞাসা করবেন, ৫ কোটি টাকা করে তো বছরে সাংসদ তহবিলে অনুমোদন হয়, ১০ কোটি টাকা খরচ করেছ বলছ, বাকি ১৫ কোটি কোথায় গেল? আর ওই ১০ কোটির কথাও জিজ্ঞাসা করবেন, কোথায় খরচ করেছে? সন্ধ্যে ৭টার পর সাংসদকে আর ফোনে পাওয়া যায় না। তাই এই সাংসদকে আপনাদেরকে বিষ্ণুপুর লোকসভার পবিত্র মাটি থেকে ছুঁড়ে ফেলার অঙ্গীকার করতে হবে।
পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সুজাতা মণ্ডল বলেন, 'বিষ্ণুপুর লোকসভার একজন মানুষ হিসেবে আমি সাংসদকে পাইনি। ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি। উনি বেশি উড়ছেন, ২ মাস পরে তো ফলাফল বেরিয়ে যাবে, দেখবেন ওঁর নামের পাশে প্রাক্তন বলে গিয়েছে।' গত পাঁচ বছরে 'ফূর্তি' ছাড়া সাংসদ আর কিছু করেননি বলেও অভিযোগ করেন সুজাতা।
প্রসঙ্গত, ফের একবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে সৌমিত্র খাঁয়ের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। ২০১৯ সালেও এই লোকসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আইনি কারণে গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য এলাকায় প্রবেশ করতে পারেননি সৌমিত্র খাঁ। পরিবর্তে সৌমিত্রর হয়ে প্রচারের গুরু দায়িত্ব সামলেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মন্ডল। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। একই সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কেও ফাটল ধরে, যা গড়ায় বিচ্ছেদ পর্যন্ত। তবে এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সৌমিত্র খাঁয়ের নাম ঘোষণা হতেই ফের একবার খবরের শিরোনামে সুজাতা মণ্ডল।