‘৪৩ লাখ বাড়ি হয়েছে…সত্যিটা বলুন’, আবাস নিয়ে মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার
এই সময় | ০৪ মার্চ ২০২৪
একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র - রাজ্য দড়ি টানাটানি চলছেই। এর মাঝেই আবাস যোজনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরিসংখ্যান দিয়ে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ নিয়ে যে দাবি করেছেন, তা ‘অসত্য’ বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী।গত সপ্তাহেই রাজ্য সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং হুগলি জেলার আরামবাগে সভা করেন তিনি। দুটি সভা থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। গত কয়েক বছরে রাজ্যকে প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলেও, সেই অর্থের সাহায্য পর্যাপ্ত বাড়ি তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ ছিল তাঁর। সেই মন্তব্যেরই কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কিছু পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ থেকে ২১ - ২২ পর্যন্ত রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনা প্রকল্প খাতে মোট ২৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। এই অর্থের সঙ্গে রাজ্য সরকার নিজের তরফে ২০ হাজার কোটি টাকা। মমতা বলেন, ‘এরপর ২০২১-২৪ পর্যন্ত এক পয়সাও দেয়নি।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, ওঁরা বলছে টাকা খেয়ে নিয়েছে। মোট ৪৩ লাখ বাড়ি হয়েছে। জবাব দিন! হয় সত্যি কথা স্বীকার করুন। তা না হলে বলুন মিথ্যা বলেছি, জনগণের কাছে ক্ষমা চান।’
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। আবাস যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেডলাইন দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই খাতে কেন্দ্রীয় টাকা বরাদ্দ করার জন্য মে মাস পর্যন্ত রাজ্য সরকার অপেক্ষা করবে হলেও জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে আরও ১১ লাখ বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দেয়নি। মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র যদি টাকা না দেয়, আমরা ১১ লাখ বাড়ি রাজ্য সরকারের তরফে করে দেব।’ আবাস যোজনা ছাড়াও আরও একাধিক প্রকল্পে রাজ্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে একশো দিনের কাজের প্রকল্পও। সেই প্রকল্পের কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্য বন্ধের অভিযোগ থাকলেও রাজ্য তা মিটিয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।