ডিম আগে, না মুরগি। এই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এই প্রশ্ন বা তর্কের মুখোমুখি কম-বেশি সকলেই হয়েছেন। বিজ্ঞানীদের একাংশ এই জটিল সমস্যার করেছেন সমাধান। তাঁদের মতে, মুরগি নয়, ডিম আগে। যদিও তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যুক্তি মানতে রাজি নন আম জনতার অধিকাংশ।
ডিম আগে, না মুরগি?
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ডিম আগে, না মুরগি, তর্ক বহুকালের। এ নিয়ে মানুষ নিজের মত করে মতামত ব্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞান কিন্তু মানুষের এই মতামতকে মানতে রাজি নয়। অধিকাংশ মানুষের ধারণা, মুরগি প্রজাতির পরিচয় পাওয়া যায় ১০ হাজার বছর আগে। তাহলে, এর আগে কী ডিমের অস্তিত্ব ছিল? এ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।বিজ্ঞানীদের মতামত কী?
একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নালে এই ডিম ও মুরগি বির্তক নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেছেন, মুরগি নয়, ডিম আগে। এ নিয়ে অদ্ভুত যুক্তিও দিয়েছেন তাঁরা। লুইস ভিলাজন নামে এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মুরগির আগে অস্তিত্ব ছিল ডাইনোসারের। সেই সময় ডিম দিত তারা। তাঁর মতে, মুরগির ডিম না হোক, ডিম তো।
তবে, বিজ্ঞানী লুইস ভিলাজনের এই দাবি মানতে রাজি নন আম জনতা। তাঁদের মতে, এরপরেই একটা প্রশ্ন থেকেই যায় সকলের মনে। কোন প্রাণীর ডিমের প্রথম অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, তা অবশ্যই জানানো দরকার বিজ্ঞানীদের।
কী বলছেন বিজ্ঞানী লুইস ভিলাজন
আম জনতার প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন বিজ্ঞানী লুইস ভিলাজন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকশো বছর আগে পৃথিবীতে মুরগির মতো দেখতে একটি বড় আকারের পাখি ছিল। মুরগির জিনের সঙ্গে মিল ছিল ওই পাখির। কিন্তু পাখিটি মুরগি ছিল না। সেই পাখি একটি ডিম পাড়ে। সেই ডিম থেকে যে প্রাণীটি জন্মায়, তার মধ্যে মুরগির বৈশিষ্ট্য ছিল। পরবর্তী কালে কিছু বিবর্তনগত পরিবর্তন ঘটে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে, সেই মুরগির সঙ্গে আজকের মুরগির অনেক পার্থক্য রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। ডিমে মিউটেশনে আদি মুরগির জন্ম হয়েছিল বলে মনে করছে তারা। ডিমের আগে যে মুরগি ছিল না, দৃঢ় বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। তবে, বিজ্ঞানীরা যে যুক্তিই দিন না কেন, মুরগি-ডিম বিতর্ক থাকবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।