J P Nadda : গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত, হিমাচলের আসনে পদত্যাগ নাড্ডার
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
রাজ্যসভার হিমাচল প্রদেশের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জে পি নাড্ডা। আগামী এপ্রিল মাসে তাঁর রাজ্যসভার এই পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাঁর পদত্যাগপত্র রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তিনি গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এর আগে তিনি হিমাচলের সংসদ থাকায় সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
আগামী এপ্রিল মাসে রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু, হিমাচল থেকে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক না থাকায় নাড্ডাকে গুজরাট থেকে মনোননয়ন দেওয়া হয়েছিল। সংসদীয় নিয়ম মেনেই বিজেপি সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর।
গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত নাড্ডাআগামী এপ্রিল মাসে নাড্ডা সহ ৪১ জন রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু সেই সময় দেশে লোকসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। ফলে রাজ্যসভার খালি আসনগুলির নির্বাচন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নাড্ডাকে মোদী-অমিত শাহ-র গড় বলে পরিচিত গুজরাট থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন তিনি। শুধু নাড্ডা নন, গুজরাট থেকে বিজেপির আরও তিন প্রার্থী রাজ্যসভার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজেপি সভাপতি হিসেবে মেয়াদ বৃদ্ধি নাড্ডারচলতি বছরের প্রথম মাসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল জেপি নাড্ডার। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নাড্ডার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন অমিত শাহ। মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছিলেন, নাড্ডার সভাপতিত্বে দেশে ভালো ফল করেছে বিজেপি। বিহারের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে দল। গত বছর নভেম্বরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় সাফাল্য পেয়েছে পদ্ম শিবির। সে কথা মাথায় রেখেই নাড্ডার মেয়াদ আগামী জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার জন্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অমিত শাহ। দল পরিচালনার দায়িত্ব ছিল নাড্ডার হাতেই। ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।