Love Story : প্রেমিককে চুম্বকের মতো জাপটে প্রেমিকা! নিখোঁজ তরুণীকে উদ্ধারে গিয়ে হতবাক পুলিশ
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
একেই বলে সত্যিকারের ভালোবাসা। বিয়ের কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছিল প্রেমিকা। বিয়ের পর প্রেমিকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে। পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে, কিছুতেই প্রেমিককে ছেড়ে আসতে চায়নি মহিলা। পরে প্রেমিকার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জামুইয়ে বারহাট থানা এলাকায়।প্রকৃত ঘটনাটি কী?
জামুইয়ের বারহাট থানার তেতারিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্ষার সঙ্গে দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল ধুনিয়ামরণের বাসিন্দা উমেশ যাদবের। উমেশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানত বর্ষার বাড়ির লোকজন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকার পরিবার। সম্প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র বর্ষার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। আগামী ১১ মার্চ ছিল বিয়ের দিন।
এদিকে, পরিবারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি বর্ষা। গত ২ মার্চ অর্থাৎ শনিবার প্রেমিক উমেশের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। স্থানীয় একটি মন্দিরে ঘিরে বিয়ে করেছিল তারা। এর পরেই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে বর্ষা।
বর্ষাকে উদ্ধার করা নিয়ে নাটক
২ মার্চ অনেক রাত পর্যন্ত বর্ষা বাড়ি না ফেরায়, সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপরেই বারহাট থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহিলা প্রেমিক উমেশের বাড়িতে রয়েছে। এরপর প্রেমিকাকে উদ্ধারে প্রেমিকের বাড়িতে হানা দেয় বারহাট থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিল পরিবারের লোকজন।
বর্ষাকে ফিরে আসার জন্য পরিবারের তরফে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও, মেনে নেয়নি সে। প্রেমিকের সাথে ঘর বাধতে অনড় থাকে। এরপর পুলিশ জোর করে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে, ব্যর্থ হয়। সে কিছুতেই উমেশকে ছেড়ে যাবে না বলে, চিৎকার করতে থাকে। অবশেষে ভালোবাসার কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। যেহেতু বর্ষা এবং উমেশ উভয়ে প্রাপ্তবয়স্ক, তাঁদের দাবি মেনে নেয় পুলিশ।
ভিডিয়ো ভাইরাল
পুলিশ যখন বর্ষাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন বিবাহিত দম্পতি একে অপরকে আঁকড়ে ধরে রাখে। আলাদা করার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। ভিডিয়োটিতে বর্ষাকে স্পষ্ট বলতে শোনা গেছে যে মরে যাবো, তবে কিছুতেই উমেশকে ছেড়ে যাবে না সে। বর্ষা এবং উমেশের এই প্রেম কাহিনী এখন জামুইয়ের ঘরে ঘরে প্রশংসিত হচ্ছে।