বিয়ের দিন সকালেই গ্রেফতার বর, কারণ জানতেই মাথায় হাত পাত্রীপক্ষের
এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
গায়ে হলুদ আসছে না কেন খবর নিতে গিয়ে জানা গেল হবু বরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কাণ্ড শুনে মাথায় হাত পাত্রীপক্ষের! যার জেরে ভেঙে গেল বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটিতে। এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে শ্রীঘরে পাত্র। আর তার জেরেই ভেঙে গেল বিয়ে। বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সব আয়োজনই করে ফেলেছিল মেয়ের বাড়ি। অপেক্ষায় ছিল গায়ে হলুদের। তখনই খবর আসে ছেলে নাকি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। অবশেষে ভাঙল বিয়ে, মাথায় হাত মেয়ের পরিবারের।
বৈদ্যবাটি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসসিএম রোডের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ত্রিবেণীর বাসিন্দা সৈকত অধিকারীর। বিয়ে ছিল আজ সোমবার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে মেয়ের দেখাশোনা শুরু হয়। তারপরে বিয়ের পাকা কথাও হয় মগড়ার ত্রিবেণী এাকার যুবক সৈকত অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে। সোমবার সকালে গায়ে হলুদের তোরজোর চলছে। অতিথিদের জন্য রান্নাবান্না সমস্ত রকম আয়োজনও সারা। ভোর থেকেই শুরু হয় বিয়ের রীতিনীতি। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে গায়ে হলুদ আসছে না দেখেই দুশ্চিন্তায় পড়ে মেয়ের পরিবার। বেলা বাড়তে থাকে। অবশেষে দুপুর দুটোর পরে ছেলের বাড়ি থেকে ফোন করে জানান হয় মগরা থানার পুলিশ সৈকতকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। যদিও ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা তা জানাননি ছেলের বাবা।
এদিকে এই খবর পাওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ের পরিবার। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হয় ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে যা শোনেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা, তারপর আর ওই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতেও পারেননি। পুলিশ সূত্রে খবর নয় বছর ধরে এলাকারই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি ওই যুবতীর সঙ্গে সহবাস করেন তিনি। তারপর বৈদ্যবাটিতে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়।
অন্যদিকে সৈকতের বিয়ের খবর পৌঁছয় এলাকার ওই যুবতীর কাছে। খবর পেয়েই প্রতারিত যুবতী মগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে সৈকতকে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, রবিবার রাত বারোটার পরে মগরা থানায় অভিযোগ করেন যুবতী। তাঁর অভিযোগে ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল যুবতীর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে সহবাস করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে পাত্রী মা বলেন, 'বক্স খাট আলামারি আরও যৌতুক চেয়েছিল ছেলে। সেইমত সব কেনা হয়। এত আয়োজন, আত্মীয় স্বজন নিমন্ত্রিত আমার অনেক টাকা খরচ হল, কী হবে! আমরা ওই যুবকের শাস্তি চাই।