• ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয়ে প্রতারণা! দালালরাজের অভিযোগ উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে, গ্রেফতার ১
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • রক্ত নিয়ে দালালি? বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চাওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। বহুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রক্ত বিক্রির একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই চক্রের এক যুবককে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, শিবা দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও ফাঁড়ির পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি কাওয়াখালির শুশ্রুতনগর এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কোচবিহার এর তুফানগঞ্জের বাসিন্দা অমিনুর আলম তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসকেরা রক্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই জানান। এরপরই ব্যক্তি স্ত্রীয়ের জন্য রক্তের খোঁজ করেন।

    সে সময় শিবা দাস নামে ওই যুবকের সঙ্গে আমিনুর আলমের যোগাযোগ হয়। অভিযোগ শিবা দাস নিজেকে ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। এরপর আমিনুরের থেকে ৩৩০০ টাকা নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই টাকা নেওয়ার পর থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

    কয়েকদিন পর ফের তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে দেখতে পান অভিযোগকারী। টাকা ফেরতের দাবি করে। টাকা না দিলে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ শিবা দাসকে গ্রেফতার করে। সোমবার অভিযুক্ত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলেছে পুলিশ। রক্ত বিক্রির এই অসাধু চক্র বহুদিন ধরেই শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সক্রিয় রয়েছে।

    এর আগেও এই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হাসপাতালে আরও বিভিন্ন বিভাগে দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা নানা পরীক্ষার নামে মেডিক্যালে আসা রোগীদের থেকে টাকা নেয় বলে অভিযোগ। তবে দালালচক্র রুখতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে বলেই জানায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালে দালালরাজ নতুন নয়। এর আগেও একাধিক হাসপাতালে দালালরাজের অভিযোগ উঠে এসেছে। গত বছরেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে দালাল চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। সেই সময় এই দালাল চক্রের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও সেই একই চিত্র ধরা পড়ল।
  • Link to this news (এই সময়)