• কলকাতার স্কুল-কলেজই এখন বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনীর, সিলেবাস শেষ করতে ভরসা অনলাইন ক্লাস...
    আজকাল | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • কৌশিক রায়: মাসখানেক পরেই পরীক্ষা। একে সিলেবাস শেষ করানোর চাপ তার ওপর সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দফায় দফায় আরও বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। আর জওয়ানদের থাকার জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে শহরের বেশ কিছু স্কুল এবং কলেজকে। জওয়ানরা থাকাকালীন কীভাবে পঠনপাঠন সম্ভব হবে তা নিয়ে রীতিমত ধন্দ্বে পড়ে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় একমাত্র ভরসা অনলাইন ক্লাস। তবে তার আগে স্কুলে থেকে যতটা বেশি সম্ভব ততটা সিলেবাস শেষ করার চেষ্টা করছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। শেষ ভরসা হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন অনলাইন ক্লাসকে। কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শবরী ভট্টাচার্য জানান, ‘আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলাম। সকলেই আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছাত্রীরা যাতে সুষ্ঠভাবে স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারে। বিদ্যালয়ের পিছন দিকে একাংশ আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে দিয়েছি। বাকি অংশে ক্লাস চলছে’। নবম এবং দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রত্যেকদিনই ক্লাস হবে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হবে একদিন অন্তর। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এক একটি শ্রেণী সপ্তাহে দুদিন করে স্কুলে এলে সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে? বেথুন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, ‘আমরা সবরকম ভাবে চেষ্টা করব সিলেবাস শেষ করার। যদি একান্তই শেষ না হয় সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করানো হবে। তবে তার আগে আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে আরও একটা বৈঠক করব। কোন কোন সময়ে ক্লাস করানো হবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু সিদ্ধান্ত নিইনি। অনেকের বাবা-মা চাকরি করেন। ক্লাসের সময় এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে পড়ুয়াদের কাছে ফোন থাকে’। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি স্কুলে চোখে পড়েছে পুলিশি নিরাপত্তাও। স্কুল চলাকালীন দুজন করে মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন স্কুলে। স্থানীয় থানার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আগামী দিনে বাড়ানো হবে পুলিশি নিরাপত্তা। অন্যদিকে, এদিন শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনার রুটমার্চ। এদিন সকালে জোড়াসাঁকো থানা থেকে পুলিশি টহলদারিতে রুটমার্চ সারেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জোড়াসাঁকো থানা থেকে শুরু করে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, মদনমোহন বর্মন স্ট্রিট হয়ে ফের থানার সামনে শেষ হয় রুটমার্চ। রাস্তায় চোখে পড়েছে উৎসুক জনতা। সকলের মুখে একটাই কথা, ‘সামনে ভোট, মিলিটারি এসে গিয়েছে’।
  • Link to this news (আজকাল)