• রাস্তার আলোয় পড়াশোনা করত ১০ বছরের শিশু, খবর যেতেই ৩ ঘণ্টায় পৌঁছে গেল বিদ্যুত্
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। মা মুখ বধির। নবদ্বীপের এরকম এক পরিবারের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ঘোষের(১০) পড়াশোনার জন্য ভরসা ছিল রাস্তার আলো। রোজই প্রিয়াঙ্কা পড়তে বসে রাস্তার আলোয়।  হীরালাল পাল রোডের একটি বাড়িতে এমন এক পরিস্থিতির কথা রবিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই খবর পৌঁছে যায় বিদ্যুত্ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে। তাতেই কাজ হল।

    প্রিয়াঙ্কার খবর জানার পরই ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে বিদ্যুত্ পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেন অরূপ বিশ্বাস। সেই নির্দেশ পেয়েই ওই শিশুর বাড়িতে ছুটে যান বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা। তড়িঘড়ি বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে দেন। বসিয়ে দেন মিটার। শুধু তাই নয়, ঘণ্টায় ঘণ্টায় কাজের অগ্রগতির খবর মন্ত্রীকে পৌঁছে দেন বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলো জ্বলে ওঠে প্রিয়াঙ্কার ঘরে। অবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরা।এত কম সময়ে অর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এক পরিবার তড়িঘড়ি বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া নিয়ে অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়েপড়া মানুষজনের বাড়িতে যেন বিদ্যুত্ পৌঁছে যায়। তারা যেন অন্ধকারে না থাকেন। এনিয়ে সচেষ্ট বিদ্যুত্ দফতর। এরকম কোনও ঘটনা জানা থাকলে জানান।গত বছর এপ্রিল মাসে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল হুগলির হরিণখোলায়। কলকাতা আরামবাগ রোডের চার লেন হাওয়ার জন্য পানীয় জলের লাইন কাটা ছিল হরিণখোলার সুলতানপুরের কয়েকটি বাড়িতে। বাধ্য হয়েই তারা  আরামবাগ রোডের কাবলে এলাকায় পথ অবরোধ করেন। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। অবরোধ দেখেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে এসে গোটা বিষয়টির খোঁজখবর করেন। সব জেনে পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দদেওয়া নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বলে দেন প্রয়োজনে সমস্যা মেটাতে সাবমার্সিবল বসাতে হবে। তিনি আরও জানিয়ে যান এনিয়ে এসডিও-ডিএমদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)