শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটে ৯০ শতাংশ আসনে কীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল? দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। পুলিস-প্রশাসনকে কড়া বার্তা, 'কমিশনের নির্দেশমতো কাজ করতে না পারলে বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই ট্রান্সফার নিয়ে নিন। বদলি হয়ে যান। একবার বিজ্ঞপ্তি জারি হলে কমিশনের আইন ও নির্দেশ না মানলে আমরা বদলি করব'।
ঘটনাটি ঠিক কী? আর বেশি দেরি নেই। লোকসভার ভোটে প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। কলকাতায় এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। প্রথমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তারপর ডিএম, এসপি ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ফুলবেঞ্চের সদস্যরা। কবে? আজ, সোমবার।এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৯০ শতাংশ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। কীভাবে? সূত্রের খবর, বৈঠকে সঠিক রিপোর্ট দিতে পারেননি জেলাশাসক। সেকারণেই জেলাশাসককে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সদস্যরা। জেলাশাসকদের কমিশনের নির্দেশ, যে জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলফলা নির্ধারিত হয়েছে, সেই জেলায় সেই অঞ্চলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে হবে। সঙ্গে প্রত্যেক পুলিস জেলায় কী ঘটছে, তার সাপ্তাহিক রিপোর্টও।এদিকে ডিএম-এসপিদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে উঠেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। সূ্ত্রের খবর, বৈঠকে বর্তমান পুলিস কমিশনারের কাছে কমিশন জানতে চায়, 'সন্দেশখালি কেন এমন পরিস্থিতি'? জবাবে তিনি বলেন, 'আমি নতুন এসেছি। ঘটনার সময়ে দায়িত্বে ছিলাম না'। সন্দেশখালিকাণ্ডের সময়ে যিনি বসিরহাটের পুলিস কমিশনার ছিলেন, তখন এখন বদলি হয়ে গিয়েছেন কালিম্পংয়ে। কমিশনকে ঘটনার সম্পর্কে জানান তিনি। কমিশনের নির্দেশ, জেলায় জেলায় যেখানে শাহাজাহানের মতো ব্যক্তিরা রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই ধরনের অপরাধীদের যেন ছেড়ে রাখা না হয়'।