• Calcutta High Court: কেন পুলিশের হেফাজতে শাহজাহান, প্রশ্ন কোর্টের
    এই সময় | ০৫ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: গ্রেপ্তার করা হলেও শেখ শাহজাহানকে কী করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া এবং সিআইডি-কে তদন্ত হস্তান্তর করায় সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য।সন্দেশখালি মামলায় সিটের তদন্ত সংক্রান্ত যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত সিট এবং গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে। তবে আদালত এ-ও ফের স্পষ্ট করে দেয় যে, কোর্ট আগেই বলেছিল শাহজাহানকে গ্রেপ্তারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। এ দিন শুনানি শেষ করলেও তদন্ত সিবিআই-কে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে রায় দেয়নি হাইকোর্ট।

    এ দিন শুনানিতে ইডি-র সওয়াল, তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকলে কী ভাবে শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলো? কেন জেল হেফাজতে পাঠানো হলো না? ইডি-র যুক্তি, ১৫ দিন পরে সিবিআই চাইলেও তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে না। শুধু সময় নষ্ট হবে। শাহজাহানের আইনজীবীও বলেন, ‘যদি তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকে তা হলে আমার মক্কেলকে কেন হেফাজতে রাখা হবে?’ আর সিবিআইয়ের দাবি, তারা শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। তদন্তও তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হামলার দিন ন্যাজাট থানায় যে প্রথম এফআইআর হয়েছিল, সেটা ইডি-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই। রাজ্য পুলিশের উপরে আস্থা হারানোর এটা একটা বড় কারণ বলে ইডি দাবি করছে।’ এ প্রসঙ্গে ইডি-র বক্তব্য, ‘আমাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা তদন্ত করতে গিয়েছিলাম, না শ্লীলতাহানি করতে গিয়েছিলাম?’

    এতে আদালতের বক্তব্য, হাইকোর্ট শুধু জানিয়েছিল গ্রেপ্তারিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু এখানে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। তারা যৌথ তদন্ত চাইছে না। কারণ তাতে তথ্য বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইডি-র বক্তব্য, রাজ্য পুলিশ অভিযুক্তের সঙ্গে আছে। যদিও রাজ্যের আইনজীবী বলেন, রেশন দুর্নীতিতে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে ইডি। সেই তদন্তে কখনও হস্তক্ষেপ করেনি রাজ্য পুলিশ। হামলার ঘটনায় যে অভিযোগ হয়েছিল শুধুমাত্র তারই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিল রাজ্য পুলিশ। সেই মামলা কেন সিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে?
  • Link to this news (এই সময়)